বাঙালি হিন্দু-মুসলিমদের সতর্ক থাকার আহ্বান সুস্মিতার

বরাক তরঙ্গ, ৯ আগস্ট :  CAA-তে আবেদন করার পর ভারত সরকার নাগরিকত্ব প্রদান করলে এফটির মামলা বাতিল হবে। এর আগে নয়। তাই মিথ্যে প্রতিশ্রুতির ফাঁদে না পড়ার আহ্বান জানালেন সাংসদ সুস্মিতা দেব। শনিবার এ বিষয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে মুখ্যমন্ত্রীকে তীব্র আক্রমণ করেন সাংসদ। তিনি বলেন, হিন্দু বাঙালি দরদ দেখানোর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে পাল্টি খেলেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, গত ১৭ জুলাই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এফটি থেকে হিন্দু বাঙালিদের মামলা বাতিল করা হবে বলে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেছিলেন, কিন্তু কিছু পর মুখ্যমন্ত্রী সুর বদলে বলেছেন এফটিতে থাকা হিন্দু বাঙালি ও বাঙালি মুসলমানদের মামলা বাতিল করা হবে না, শুধু রাজবংশী ও গোরখাদের মামলা বাতিল করা হবে। হিন্দু বাঙালির ক্ষেত্রে সকলকে CAA অনুসরন করতে হবে। মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের বিরুদ্ধে নিজের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে সাংসদ সুস্মিতা দেব শাসক দল সহ ভারতীয় নির্বাচন কমিশনের ভুমিকায় বিভিন্ন প্রশ্ন উত্থাপন করেছেন। শনিবার আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তৃণমূল সাংসদ জানান, CAA-তে আবেদন করার পর ভারত সরকার নাগরিকত্ব প্রদান করলে “এফটির” মামলা বাতিল হবে। কারণ CAA-তে আবেদন না করলে এফটির মামলা বাতিল হবে না বলে ভারত সরকার লিখে দিয়েছে। SIR সম্পর্কে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী সত্যি কথা বলেছেন। এবং অসমের মুখ্যমন্ত্রী ড. হিমন্ত বিশ্ব শর্মা মিথ্যা কথা বলছেন বলে মন্তব্য সুস্মিতা দেবের।

SIR ভারতীয় নির্বাচন কমিশন করেছে। নাগরিকত্ব নিয়ে নির্বাচন কমিশনের তদন্ত অসাংবিধানিক বলে এদিন জানিয়েছেন তিনি। নাগরিকত্বের তদন্ত শুধু ভারত সরকারের সৌরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় NRC-র মাধ্যমে করতে পারবে। কিন্তু SIR এর নামে পেছনের দরজা দিয়ে NRC করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। নাগরিকত্ব প্রমাণে কমিশন ভোটার আইডি, আধার কার্ড ও রেশন কার্ড মানছে না। ভোটার তালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও যদি কেউ নাগরিক না হয় তাহলে তদন্ত কেন করা হচ্ছে, নির্বাচন কমিশনকে প্রশ্ন করেছেন সুস্মিতা দেব। বিহার SIR-এ দেখা গেছে, যাদের জন্ম ১৯৮৭ সালের পর হয়েছে ওদেরকে ওদের মা বা বাবার বার্থ সার্টিফিকেট দিতে বলা হয়েছে। কতজনের কাছে বার্থ রয়েছে মা ও বাবার বার্থ সার্টিফিকেট প্রশ্ন উত্থাপন করেছেন তিনি। কমিশন সিটিজেনশিপ এক্ট সেকশন ৩ থেকে এই তারিখটি নিয়েছে বলে জানিয়েছেন সুস্মিতা। সিটিজেনশিপ অ্যাক্ট, সিটিজেনশিপ বাই বার্থ কিভাবে SIR-এ কার্যকর  করেছে, নির্বাচন কমিশনকে প্রশ্ন করেছেন তিনি। বিজেপি বাঙালি বিরোধী দল। ফলে বাঙালিদের জমির অধিকার নেই, নাগরিকত্ব নেই,নেই নিরাপত্তাও। কারণ সবাই বাংলা ভাষায় কথা বলছেন বলে। অন্যান্য বিভিন্ন ইস্যুতে কথা বলে ডাবল ইঞ্জিনের সরকার সহ ভারতীয় নির্বাচন কমিশনের ভূমিকায় নানা প্রশ্ন তুলে ধরে অসমের হিন্দু বাঙালি ও বাঙালি মুসলমানদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

Spread the News
error: Content is protected !!