খেলো ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটি গেমসের সফল সমাপন
ইকবাল লস্কর, শিলচর।
বরাক তরঙ্গ, ১ মার্চ : চতুর্থ খেলো ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটি গেমসের অন্তিম দিনে বৃহস্পতিবার স্বর্ণপদক জিতে নিজের ক্যারিয়ারে হ্যাটট্রিক করলেন লাভলি প্রফেশনাল ইউনিভার্সিটির ইনুঙ্গানবি তাখেলাম্বাম। মণিপুরের এই মহিলা খেলোয়াড় তাঁর ক্যারিয়ারে এবারে ৭০ কেজি ওজন বিভাগে (জুডো) স্বর্ণপদক জিতে হ্যাটট্রিক সম্পূর্ণ করেন। এই সাফল্যের পর ইনুঙ্গানবির এখন লক্ষ্য আসন্ন প্যারিস অলিম্পিকে খেলার যোগ্যতা অর্জন করা।
‘আমার বাবা আমার ইশ্বর’, উজবেকিস্তানে উড়ার প্রাক্কালে বললেন ইনুঙ্গানবি
গুয়াহাটিতে স্বর্ণপদক জেতার পর, ইনুঙ্গানবি উজবেকিস্তানের তাসখন্দে উড়ে যান। সেখানে তিনি গ্র্যান্ড স্লাম স্তরে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন এবং অলিম্পিক যোগ্যতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ র্যাঙ্কিং পয়েন্ট সংগ্রহ করার চেষ্টা করবেন। এক প্রতিক্রিয়ায় গেমসের অন্তিম দিনে পদক জেতার পর বলেন, “এটা আমার শেষ খেলা। তাই স্বর্ণপদক দিয়ে শেষ করতে পেরে খুশি তিনি। খেলো ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটি গেমসের আগের দুটি সংস্করণে আমি দুটি স্বর্ণপদক জিতেছি। আমি সর্বভারতীয় আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় গেমসে পাঁচটি স্বর্ণপদক এবং একবার সেরা জুডোকা পুরস্কার জিতেছি এখন অলিম্পিক যোগ্যতার জন্য র্যাঙ্কিংয়ে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট পাওয়ার চেষ্টা করব এবং প্যারিসের জন্য যোগ্যতা অর্জনের জন্য আশাবাদী তিনি।” মণিপুরের পূর্ব ইম্ফল থেকে ইনুঙ্গানবির যাত্রা শুধু পদক জেতার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয় । তিনি তাঁর বাবার প্রেরণায় জুডোকে আপন করে নিয়েছিলেন । একান্ত এক প্রতিক্রিয়ায় ইনুঙ্গানবি এও বলেন, “আমার বাবা আমার প্রথম কোচ ছিলেন, বাবা আমার বন্ধুর মতো। আমার পরিবারের সমর্থন আমার জীবনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। আমি আমাদের পরিবারের প্রথম পেশাদার ক্রীড়াবিদ,”
আমার ঈশ্বর আমার প্রথম পরামর্শদাতা, আমার বন্ধুও আমার জীবনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে পরিবারের সাহায্যে আমি স্কুলের দিনগুলিতে প্রথম বার বার খেলতাম।”
এদিকে, চতুর্থ খেলো ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটি গেমসের সফলভাবে শেষ করতে জমকালো সমাপনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ক্রীড়ামন্ত্রী নন্দিতা গারলোসা, শিক্ষামন্ত্রী ডঃ রোনজ পেগু,
অসম সরকারের ক্রীড়া ও যুব কল্যাণ বিভাগের সচিব, ভারত সরকারের ক্রীড়া ও যুব কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব কাউসার জামিল হিলালি, প্রেম কুমার ঝা এবং যুগ্ম সচিব, অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়ান ইউনিভার্সিটিজ বলজিৎ সিং শেখন প্রমুখ।
সমাপনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ক্রীড়ামন্ত্রী নন্দিতা গারলোসা বলেন, “৪র্থ খেলো ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটি গেমসের সফল আয়োজনের মাধ্যমে অসম আরেকটি সাফল্য অর্জন করেছে। খেলো ইন্ডিয়া, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির স্বপ্ন ছিল। খেলাধুলার মাধ্যমে যুব ক্ষমতায়নের স্বপ্নের একটি উদ্যোগ, এখন এটি এক বার্ষিক প্রধান ইভেন্টে পরিণত হয়েছে এবং অসমে খেলো ইন্ডিয়া গেমসের চতুর্থ সংস্করণ সফলভাবে আয়োজন করতে পেরে গর্বিত রাজ্যবাসী”।