সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে বিশেষ বক্তৃতানুষ্ঠান আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ে

বরাক তরঙ্গ, ১০ আগস্ট : আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের উদ্যোগে শনিবার এক বিশেষ বক্তৃতানুষ্ঠান আয়োজিত হয়। বিষয় ছিল ‘সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতিমূলক দক্ষতা’। এতে আমন্ত্রিত অতিথি বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হাইলাকান্দি জেলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তথা সমাজকর্ম বিভাগের প্রাক্তন ছাত্র কিষাণ চোরেই ত্রিপুরা। এই বিশেষ বক্তৃতানুষ্ঠান আয়োজনের লক্ষ্য ছিল শিক্ষার্থীদের সিভিল সার্ভিস সহ অন্যান্য প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা, মানসিকতা ও কৌশল সম্পর্কে অনুপ্রাণিত করা এবং নির্দেশনা দেওয়া।

বিভাগীয় কনফারেন্স হলে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানের শুরুতে ড. অদিতি নাথ ও ড. রত্না হুইরেম এসিএস কিষাণ চোরেই ত্রিপুরাকে গামছা ও ফুলের তোড়া দিয়ে সম্মানিত করেন। শুভেচ্ছা স্মারক প্রদান করেন অধ্যাপক শুভব্রত দত্ত। প্রাসঙ্গিক বক্তব্য পেশ করেন অধ্যাপক এম গঙ্গাভূষণ, অধ্যাপক এম তিনেশ্বরী দেবী, ড. মৃত্যুঞ্জয় সিং প্রমুখ। তাঁরা কিষাণ চোরেই ত্রিপুরার ছাত্রাবস্থার কিছু স্মরণীয় ঘটনার কথা স্মরণ করেন।

সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে বিশেষ বক্তৃতানুষ্ঠান আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ে

কিষাণ চোরেই ত্রিপুরা শিক্ষার্থীদের উষ্ণ অভ্যর্থনা জানিয়ে ও সমাজকর্ম বিভাগের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তার বক্তব্য শুরু করেন। ‘ব্যাকবেঞ্চার’ হয়েও কীভাবে জীবনের প্রতিটি ধাপে এগিয়ে গেছেন তাও উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, প্রত্যেকের মধ্যেই সুপ্ত ক্ষমতা রয়েছে, শুধু সঠিক মনোভাব নিয়ে এই সুপ্ত মনোভাব জাগিয়ে তুলতে হবে। তিনি করিমগঞ্জের জওহরলাল নেহরু বিদ্যালয় থেকে আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগে পাঁচ বছর পূর্ণ করা পর্যন্ত তার শিক্ষাজীবনের যাত্রা ভাগ করে নেন। সেইসঙ্গে জানান কীভাবে দীর্ঘ প্রস্তুতির মাধ্যমে সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় সাফল্য অর্জন করেন।

সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে বিশেষ বক্তৃতানুষ্ঠান আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ে

এদিন তিনি সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার ওপর মনোযোগ দেওয়ার পাশাপাশি অন্যান্য সরকারি পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্যও পড়ুয়াদের উৎসাহিত করেন। কঠোর পরিশ্রম, প্রস্তুতি, পরিকল্পনা, সংকল্প ও সর্বোপরি সাফল্য অর্জনে সততার গুরুত্বের ওপর জোর দেন। পাশাপাশি  শিক্ষার্থীদের সরাসরি উত্তর দেওয়া, অপ্রয়োজনীয় অতিরিক্ত ব্যাখ্যা এড়ানো ও অতিরিক্ত জটিল ক্ষেত্রগুলি অনুসন্ধান করা থেকে বিরত থাকতে সংযম বজায় রাখার পরামর্শ দেন। তিনি এদিন এও বলেন, সৎ থাকা আত্মবিশ্বাস বাড়ায় ও চাপ কমায়।

তিনি শিক্ষার্থীদের অনুপ্রাণিত করার জন্য তাঁর ব্যক্তিগত অনুপ্রেরণা, ক্রীড়াবিদ অরুণিমা সিনহার কথা উল্লেখ করেন, যিনি দুর্ঘটনায় পা হারানোর পরও মাউন্ট এভারেস্টে আরোহণ করেন। বলেন, শারীরিক সীমাবদ্ধতা একজনের সম্ভাবনাকে কখনও সংজ্ঞায়িত করে না, এটি সম্পূর্ণরূপে নিষ্ঠার ওপর নির্ভর করে। বক্তৃতার পর তিনি পড়ুয়াদের সঙ্গে প্রশ্নোত্তর পর্বেও অংশ নেন। শেষে ধন্যবাদ সূচক বক্তব্য রাখেন বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক তরুণ বিকাশ সুকাই।

Spread the News
error: Content is protected !!