ইউরো কাপে জয় দিয়ে শুরু স্পেন-ইতালির

১৬ জুন : আলবেনিয়াকে ২-১ গোলে হারিয়ে ইউরো কাপে যাত্রা শুরু করল গতবারের চ্যাম্পিয়নরা। পাঁচ মিনিটের মধ্যে জোড়া গোল ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট। তাতেই আরও ব্যাকফুটে চলে যায় আলবেনিয়া। তবে শেষদিকে যেভাবে চাপ সৃষ্টি করেছিল, সমতা ফেরার সম্ভাবনা তৈরি হয়। তবে যে আধিপত্য নিয়ে গোটা ম্যাচে খেলল ইতালি, অনেক আগেই গোল সংখ্যা বাড়িয়ে জয় নিশ্চিত করে ফেলা উচিত ছিল আজুরিদের। একাধিক গোল মিস চিন্তায় রাখবে কোচ লুসিয়ানো স্পালেত্তিকে‌। এখনও পর্যন্ত যে তিনটে ম্যাচ হয়েছে, তাতে ওপেন ফুটবল খেলতে দেখা গিয়েছে জার্মানি, স্পেন, ইতালিকে। বদলে গিয়েছে বিশ্ব ফুটবলের ধারা। এখনও পর্যন্ত তিন ম্যাচেই প্রথমার্ধে সিংহভাগ গোল। অর্থাৎ, রক্ষণ আগলে সতর্কতার মোড়কে মোড়া ফুটবল নয়, প্রথম থেকেই গোলের জন্য ঝাঁপাচ্ছে দলগুলো। যা আগে সাধারণত গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচ থেকেই দেখা যেত না। তবে আগ্রাসী ফুটবল ইউরোকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলছে। ‘গ্রুপ অফ ডেথ’এ ক্রোয়েশিয়াকে স্পেন ৩-০ গোলে হারানোর পর আলবেনিয়াকে হারিয়ে গ্রুপ জমিয়ে দিল ইতালি।

ম্যাচের ২২ সেকেন্ডে গোল। ইউরো কাপের ইতিহাসে দ্রুততম। ভেঙে যায় রাশিয়ার দিমিত্রি কিরিচেঙ্কোর রেকর্ড। ২০০৪ ইউরোতে গ্রিসের বিরুদ্ধে ৬৫ সেকেন্ডে গোল করেছিলেন তিনি। এদিন তাঁকে ছাপিয়ে যান আলবেনিয়ার নেদিম বাজরামি।

এ দিকে, বার্লিনের অলিম্পিয়াস্টেডিঅনে ক্রোয়েশিয়াকে ৩-০ গোলে হারাল স্পেন। গোলদাতা আলভারো মোরাতা, ফ্যাবিয়ান রুইজ এবং দানি কার্ভাহাল। আগের দিন যেমন প্রথমার্ধের শেষেই বড় ব্যবধানে এগিয়ে গিয়েছিল জার্মানরা, শনিবার রাতে বিরতিতে ৩-০ গোলে এগিয়ে যায় স্পেন। দ্বিতীয়ার্ধ গোলশূন্য। হাজার চেষ্টা সত্ত্বেও কোনও দলই বিপক্ষের গোলমুখ খুলতে পারেনি। প্রথম ২৫ মিনিট দুই দলের অতি সাধারণ ফুটবল। প্রথমার্ধের শেষ ১৬ মিনিটে তিন গোল। ইউরোর ইতিহাসে সর্বকনিষ্ঠ ফুটবলার হিসেবে অভিষেক হয় লামিনে জামালের। প্রথম ম্যাচেই অবদান রাখেন। অন্যদিকে স্কোরশিটে নাম তুলে ইউরোর তিন সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় ঢুকে পড়েন মোরাতা। দ্বিতীয়ার্ধে যেভাবে দুই দল আক্রমণ করে, গোল সংখ্যা আরও বাড়তে পারত। তবে প্রশংসা করতে হবে স্পেনের রক্ষণ এবং গোলকিপারের।
সূত্র : আজকাল ডট ইন। 

Author

Spread the News