ইসরোর বৈজ্ঞানিক হয়ে বরাকের নাম উজ্জ্বল করলেন সোনাইর কৃতী আমজাদ আমিন
বাপন লস্কর, সোনাই।
বরাক তরঙ্গ, ২১ ডিসেম্বর : ইসরোর বৈজ্ঞানিক হয়ে চমক দেখালেন কাছাড় জেলার সোনাইর আমজাদ আমিন রাহুল। সরকারি স্কুল থেকে প্রাথমিক শিক্ষা নিয়ে আসামের নাম উজ্জ্বল করেছেন এই তরুণ। নগদীরগ্রাম তৃতীয় খণ্ডের বাসিন্দা তথা পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের শিলচর শাখার প্রাক্তন ম্যানেজার মকব্বির আলি লস্করের ছেলে আমজাদ আমিন রাহুলের কৃতিত্বে খুশির হাওয়া বইছে এলাকাজুড়ে। ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশনের কেন্দ্রীয় নিয়োগ বোর্ডের এ বছরের পরীক্ষায় বাছাইয়ের তালিকায় ১৫৩ এর মধ্যে ১১ নম্বর স্থান দখল করেন আমজাদ আমিন রাহুল। শিক্ষক মহল থেকে শুরু করে বিভিন্ন বিজ্ঞ মহল থাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানাচ্ছেন। তার এই সফলতায় গর্ভবোধ করেন পিতা মকব্বির আলি লস্কর ও মাতা আলেয়া বেগম লস্কর।
এক সাক্ষাৎকারে আমজাদ তার ছাত্র জীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে নব প্রজন্মকে লক্ষ্য স্থির করে মনোযোগের সঙ্গে পড়াশোনা করে এগিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। কৃতি আমজাদ জানান, তার পড়াশোনা শুরু হয় কাবুগঞ্জ ১৪১ নম্বর রামচরণ পাঠশালা থেকে। ৫ম ও ৬ষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত লক্ষীচরণ হাইস্কুলে, তারপর শিলচর অধরচান্দ হাইস্কুলে মাধ্যমিক পরীক্ষায় কৃতিত্বের সঙ্গে উত্তীর্ণ হয়ে উচ্চ মাধ্যমিকে ভর্তি হন রামানুজ গুপ্ত জুনিয়র কলেজের বিজ্ঞান শাখায়। সেখানেও তার ভালো ফলাফল ছিল। তারপর শিলচর আইটিআই থেকে মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি নেন। এরপর শিলচর জলসেচ বিভাগের জল জীবন মিশনে দু’বছর চাকরি করেন। এরপর এখানে মন লাগে নি, ভর্তি নেন আইআইটি খড়্গপুরে। সেখানে মেকানিকাল ডিজাইনিং কোর্স সম্পন্ন করে একটি প্রাইভেট কোম্পানির অ্যাডিশন্যাল ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে নিযুক্তি পান। সেখানে কাজ করে করে ইসরোর নিয়োগ পরিক্ষায় বসেন। এ বছর আজ থেকে ৬ দিন পূর্বে আরেকটি সরকারি চাকরিতে যোগ দিতে বের হলে পান এই সুখবর।
এদিন তিনি কথা বলতে গিয়ে বিশেষ করে পরম করুনাময় সৃষ্টিকর্তার কাছে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। এবং শিক্ষক-শিক্ষিকা, পিতা-মাতা সহ তার সহপাঠীদের সাহায্য ও পরিশ্রমের জন্য আজ এই সাফল্য পেয়েছেন বলে জানান রাহুল। বাবা মকব্বির আলি লস্কর কথা বলতে গিয়ে নিজের ছেলের কৃতিত্বের খুশিতে কেঁদে ভেঙে পড়েন। তিনি বলেন, আমার জীবনের সবচেয়ে বড় পাওয়া এটাই। আমার জীবনে অনেক কষ্ট করেছি এবং আমার ছেলে মেয়েরা একের পর এক সাফল্য দিয়ে আমাকে গর্বিত করেছে। আমার বড় মেয়ে হাইলাকান্দির খাইরুন নেছা মেমোরিয়াল কলেজের অধ্যক্ষা। জানান, তাঁর ৩ মেয়ে এবং সর্ব কনিষ্ঠ হচ্ছে রাহুল।