বেঙ্গালুরুতে সড়ক দুর্ঘটনায় হত বড়খলার যুবকের দেহ আনতে সহযোগিতা সোনাই বিধায়কের

বরাক তরঙ্গ, ৯ মে : বেঙ্গালুরুতে সড়ক দুর্ঘটনায় হত বড়খলার যুবক পাপ্পু দাসের মরদেহ আনার ব্যাপারে সব ধরনের সহযোগিতা করছেন সোনাইর বিধায়ক করিম উদ্দিন বড়ভূইয়া (সাজু)।

রোজগারের আশায় বেঙ্গালুরু গিয়েছিলেন বড়খলা চান্দপুর দ্বিতীয় খণ্ড এলাকার কান্দিগ্রামের বছর ত্রিশের যুবক পাপ্পু দাস। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস বোধহয় একেই বলে। গত ৬ মে এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় সেখানেই প্রাণ হারান তিনি। এরপর মরদেহ গ্রামের বাড়িতে ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে মুখ্য অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায় অর্থ। এ খবর জানতে পেরে খোঁজখবর নেওয়া শুরু করেন সাজু।

বেঙ্গালুরুতে সড়ক দুর্ঘটনায় হত বড়খলার যুবকের দেহ আনতে সহযোগিতা সোনাই বিধায়কের

জানা যায়, দুর্ঘটনার খবর জানার পর পাপ্পুর লাশ বাড়িতে আনার তৎপরতা শুরু করেন তাঁর গ্রামের বাসিন্দাদের একাংশ। এছাড়া বেঙ্গালুরুতে কর্মরত বরাক তথা কাছাড় জেলার তরুণরাও চাঁদা সংগ্রহ করেন। তারপরও টাকার অভাব থেকে যায়। বেঙ্গালুরুতে কর্মরত আহমদ হোসেন বড়ভূইয়ার মাধ্যমে এ খবর পৌঁছয় সোনাইর বিধায়ক করিম উদ্দিন বড়ভূইয়ার কাছে। সঙ্গে সঙ্গে সক্রিয় হয়ে ওঠেন বিধায়ক। তিনি বেঙ্গালুরুস্থিত ডিবি ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তাদের পাঠিয়ে মৃত ব্যক্তির খোঁজ নেন এবং লাশ বাড়িতে পাঠানোর বিষয়ে সহযোগিতার আশ্বাস দেন। প্রাথমিক পর্যায়ে ১৫ হাজার টাকার সহায়তা প্রদান করেন বিধায়ক। আহমদ হোসেন বড়ভূইয়া বলেন, বিধায়ক সাজুর এই সহযোগিতা সত্যিই প্রশংসনীয়। বেঙ্গালুরুতে কর্মরত বরাক উপত্যকার তরুণরাও বিধায়ক সাজুর এই মানবিক পদক্ষেপে গভীরভাবে অনুপ্রাণিত। তাদের মতে, সাধারণ মানুষের বিপদের সময় পাশে দাঁড়ানো বিধায়ক সাজুর একটি আলোকিত দৃষ্টান্ত।

বেঙ্গালুরুতে সড়ক দুর্ঘটনায় হত বড়খলার যুবকের দেহ আনতে সহযোগিতা সোনাই বিধায়কের

বিধায়ক হওয়ার আগে থেকেই সমাজসেবায় নিয়োজিত সাজু। বিধায়ক নির্বাচিত হওয়ার পর এই কাজে আরও গতি এসেছে। উল্লেখ্য, সড়ক দুর্ঘটনায় হত পাপ্পু দাসের বাড়িতে রয়েছেন বৃদ্ধ বাবা সহ স্ত্রী এবং দু’টি শিশুকন্যা। তিনি ছিলেন পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী।

Author

Spread the News