এপিডিসিএল কার্যালয়ে কো-অর্ডিনেশন কমিটির আন্দোলনে সংহতি কনজিউমার্স অ্যাসোসিয়েশন’র

বরাক তরঙ্গ, ৯ আগস্ট : শিলচরের পানপট্টিস্থীত এপিডিসিএল কার্যালয়ে কো-অর্ডিনেশন কমিটি অব ইলেকট্রিসিটি এমপ্লয়িজ, ইঞ্জিনিয়ার অ্যান্ড পেনশনার্স’- এর অসম রাজ্য শাখার আহ্বানে বিদ্যুৎ খন্ডের বেসরকারিকরণ ও সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মচারী ও গ্রাহকদের নানা সমস্যার বিরুদ্ধে আয়োজিত প্রতিবাদী কার্যসূচীতে ‘অল আসাম ইলেকট্রিসিটি কনজিউমার্স অ্যাসোসিয়েশন’র কাছাড় জেলা কমিটির সভাপতি মন্মথ নাথ, সহ-সভাপতি দিলীপ নাথ, চাম্পালাল দাস, সম্পাদক অঞ্জন কুমার চন্দ এবং জেলা কোর্ডিনেশন কমিটি’র কো-চেয়ারম্যান নির্মল কুমার দাস, দীপঙ্কর চন্দ প্রমুখ উপস্থিত হয়ে তাদের আন্দোলনের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেন। মন্মথ নাথ প্ৰতিবাদী কাৰ্যসূচী চলাকালে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন যে কেন্দ্রীয় সরকার বিদ্যুৎ খণ্ডকে কর্পোরেটদের হাতে তুলে দিতে চাইছে। বিদ্যুৎ বিল, ২০২২ সে উদ্দেশ্যেই সংসদে উত্থাপিত হয়েছে। যদিও দেশব্যাপী বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মচারী ও গ্রাহকদের প্রবল প্রতিরোধের মুখে তা সংসদে গৃহীত হয়নি। কিন্তু তা যে কোন সময় পাস হয়ে যেতে পারে।

এছাড়াও তিনি বলেন আসাম সহ বিভিন্ন রাজ্যে বিদ্যুৎ বিতরণের দায়িত্ব কর্পোরেটদের হাতে তুলে দিতে বিদ্যুতের পরিষেবা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে তা খোলা বাজারের পণ্যে পর্যবসিত করা হচ্ছে, প্রিপেইড স্মার্ট মিটার ব্যবস্থা এই পদক্ষেপের সর্বশেষ উদাহরণ। বিদ্যুৎ বিভাগের তথাকথিত আধুনিকীকরণের নামে স্মার্ট মিটার প্রতিস্থাপনের যে কাজ চলছে তা গোটা দেশের হাজার হাজার কর্মচারীর চাকরি হারানোর আশংকা রয়েছে। তিনি বলেন বর্তমানে বিদ্যুৎ বিভাগের হাজার হাজার পদ শূন্য পড়ে রয়েছে ফলে কর্মীচারীদের যেমন মারাত্মক কাজের বোঝা চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে ঠিক উল্টো দিকে সাধারণ গ্ৰাহকরা চরম হয়রানির শিকার হচ্ছেন। জনগণের ট্যাক্সের কোটি কোটি টাকা খরচ করে বিদ্যুতের যে পরিকাঠামো গোটা দেশে গড়ে উঠেছে তা রক্ষার দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মচারীদের সাথে গ্রাহকদেরও রয়েছে অন্যথায় ভবিষ্যতে এই বিভাগ ব্যক্তিগত খণ্ডে চলে গেলে সাধারণ গ্রাহকরা বিদ্যুতের ব্যবহার করা থেকে বঞ্চিত হবেন।

Author

Spread the News