শিলচরের ডিএনকে স্কুলে মন্ত্রী কৌশিক রায় ও বিধায়ক মিহির কান্তি সোমকে সংবর্ধনা

দীপ দেব, শিলচর।
বরাক তরঙ্গ, ৩ মে : শিলচরের ঐতিহ্যবাহী দীনানাথ নবকিশোর উচ্চতর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকারা মন্ত্রী কৌশিক রায় ও বিধায়ক মিহিরকান্তি সোমকে সংবর্ধনায় জানালেন। শনিবার স্কুলের শ্যামাচরন মঞ্চে মন্ত্রী কৌশিক রায় ও বিধায়ক মিহিরকান্তি সোম সহ অধ্যক্ষ অভিজিৎ সাহা, প্রাক্তন অধ্যক্ষা নীলিমা ভট্টাচার্য মাঙ্গলিক পঞ্চপ্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। দু’জনকে উত্তরীয় ও হাতে স্মারক তুলে দিয়ে সম্মান জানান অধ্যক্ষ ড অভিজিৎ সাহা।

স্বাগত বক্তব্যে বর্তমান অধ্যক্ষ অভিজিৎ সাহা স্কুলটির সৃষ্ঠি ও ঐতিহ্যের ইতিহাস তুলে ধরে বলেন, দীনানাথ নবকিশোর উচ্চতর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়টি হচ্ছে স্বদেশী চিন্তাধারা ও দেশপ্রেমের চিন্তাধারার বিদ্যালয় বলে পরিচিত।ছাত্রীরা পড়াশোনা সহ খেলাধূলায় এগিয়ে রয়েছে, সেই সঙ্গে তিনি মন্ত্রী কৌশিক রাই ও বিধায়ক মিহির কান্তি সোমের দৃষ্টি আকর্ষণ করিয়ে দেন স্কুলটির পরিকাঠামো উন্নয়নের কথা তুলে ধরেন। মন্ত্রী কৌশিক রায় বলেন, এই অঞ্চলের  স্বদেশী বিদ্যালয় হিসেবে সুপরিচিত বিদ্যালয়টি। এই স্কুলের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা কিছু স্মৃতির কথা তুলে ধরেন। তিনি আরও বলেন, মুখ্যমন্ত্রী ড. হিমন্ত বিশ্ব শর্মা‌র সরকার রাজ্যের পুরোনো স্কুলের গুলোকে ভেঙ্গে নতুন ভাবে পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য ৭ কোটি টাকা করে অনুদান দিচ্ছে, আগামী দিনে এই স্কুলের পুরোনো ব্লিডিংটি ভেঙ্গে নতুন স্কুলের ভবন, শ্রেণী কক্ষ ও ল্যাবরেটরি সহ অডিটোরিয়াম নির্মাণের কাজের জন্য কিভাবে অর্থ বরাদ্দ করা যায়, এই বিষয়টি নিয়ে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিবেন বলে জানান। বিধায়ক মিহিরকান্তি সোম বলেন, বিদ্যালয়টির জায়গা কম থাকলেও সরকারীভাবে সাহায্য করে ছাত্রীদের পড়াশোনার সুবিধার্থে নতুন শ্রেনী কক্ষ বানানোর জন্য মন্ত্রী ও তিনি যৌথভাবে চেষ্টা করবেন এবং সেই সঙ্গে স্কুল কর্তৃপক্ষকে ইঞ্জিনিয়ার সঙ্গে পরামর্শ নিয়ে স্কুলের পুরনো বিল্ডিংটি ভেঙ্গে নতুন স্কুলের শ্রেণী কক্ষ নির্মাণের ড্রয়িং বানানোর পরামর্শ দেন এবং এই ঐতিহ্যবাহী বিদ্যালয়টি উন্নয়নের জন্য সব সময় উনারা পাশে থাকবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন।এরপর বিদ্যালয়টির বিভিন্ন সমস্যা গুলোর নিরসনের উদ্যেশ্যে একটি স্মারকলিপি পাঠ করে উনাদের হাতে তুলে দেন শিক্ষিকা অমৃতা ভট্টাচার্য।

এদিন অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত শিক্ষক সঞ্জীৎ দেবনাথ, প্রাণেশ চক্রবর্তী, রঞ্জনা ধর, অরুনাভ দে, সোমা পাল, প্লাবনী পাল সহ আরো অন্যান্য শিক্ষক ও শিক্ষিকারা। সভাটির সমাপ্তি ঘটে শিক্ষক রাজেশ কৈরীর ধন্যবাদসূচক বক্তব্যের মধ্য দিয়ে।