শিলচর শঙ্করমঠ মঠ ও মিশনের বার্ষিক সনাতনী ধর্মীয় অনুষ্ঠান সমাপ্ত
দীপ দেব, শিলচর।
বরাক তরঙ্গ, ২১ জানুয়ারি : সনাতন ধর্মে বা হিন্দুধর্মে, শ্রেণী, বর্ণ বা সম্প্রদায় নির্বিশেষে, সমস্ত হিন্দুদের উপর বাধ্যতামূলক “শাশ্বত” বা সম্পূর্ণ কর্তব্য বা ধর্মীয়ভাবে নির্ধারিত অনুশীলন বোঝাতে ব্যবহৃত শব্দটি। এইভাবে সনাতন ধর্ম হিন্দুধর্মের “শাশ্বত” সত্য এবং শিক্ষার একটি সমার্থক শব্দ হয়ে উঠেছে, যেটি শুধুমাত্র ইতিহাসের সীমা অতিক্রমকারী এবং অপরিবর্তনীয় নয় বরং অবিভাজ্য এবং শেষ পর্যন্ত অসাম্প্রদায়িক হিসাবেও ধারণা করা হয়েছে বলেন শিলচর শঙ্করমঠ মঠ ও মিশনের দশম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী এবং নবনির্মিত পার্থসারথি শিব মন্দির ও যোগাচার্য পরমহংস শ্রীমৎ স্বামী জ্যোতিশ্বরানন্দ গিরি মহারাজের ১১৬তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ৪ দিনব্যাপী সনাতনী ধর্মীয় অনুষ্ঠানমালায় উপস্থিত হয়ে বলেন আন্তর্জাতিক গীতা প্রচার সংস্থার অধ্যক্ষ শ্রীমৎ স্বামী তপনানন্দ গিরি মহারাজ। ঐতিহ্যবাহী শিলচর শঙ্করমঠ মঠ ও মিশনের নবনির্মিত পার্থসারথি শিব মন্দির উদ্বোধন ও যোগাচার্য পরমহংস শ্রীমৎ স্বামী জ্যোতিশ্বরানন্দ গিরি মহারাজের ১১৬ তম জন্মবার্ষিকীর চতুর্থ দিনে বিশ্বশান্তি গীতা যজ্ঞের আয়োজন করা হয়।প্রতি বছরের ন্যায় এবছরও দেশ-বিদেশ থেকে আগত প্রায় ৪০ জনের মতো সাধু-সন্তরা উপস্থিত থাকেন ও বৈদিক মন্ত্রাউচ্চারনের মধ্য দিয়ে সকাল থেকে সন্ধ্যা অবধি চলে বিশ্বশান্তি গীতাযজ্ঞ,এরপর সমবেত প্রার্থনার মধ্য দিয়ে চারদিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার সমাপ্তি ঘটে। উপস্থিত শঙ্করমঠ ও মিশনের বারাসত শাখার কর্মাধ্যক্ষ শ্রীমৎ স্বামী পল্লবানন্দ ব্রহ্মচারী মহারাজ বলেন, ভগবদ গীতা অনুসারে, সনাতন ধর্মের প্রাক-বিখ্যাত, পবিত্র পাঠ, যা আমাদেরকে উন্নীত করে, জীবনের লক্ষ্যে পৌঁছাতে সাহায্য করে, প্রকৃত জ্ঞান অর্জন করতে এবং মুক্তি লাভ করে ধর্ম, ধার্মিকতা; যা আমাদেরকে জাগতিকতার দিকে টেনে নিয়ে যায়, ধর্মহীন করে তোলে তা হল অধর্ম।
শঙ্করমঠ ও মিশনের একমাত্র উদ্দেশ্য হচ্ছে মানুষের মধ্যে গীতার বাণীর প্রচার,গীতা শিক্ষা দেয় যে ধর্ম কেবল নিয়ম এবং আচার-অনুষ্ঠানের একটি সেট নয় বরং একটি গভীর অভ্যন্তরীণ জ্ঞান, নৈতিক এবং নৈতিক নীতি যা আমাদের কর্তব্য পালনে, একটি ধার্মিক জীবনযাপন করতে এবং শেষ পর্যন্ত আধ্যাত্মিক উপলব্ধি অর্জনে আমাদের নির্দেশনা দেয়। তিনদিনব্যাপী অনুষ্ঠানে প্রায় পাঁচ হাজারেরও বেশি ভক্তদের মধ্যে মহাপ্রসাদ বিতরণ করা হয় এবং সহযোগীতায় ছিলেন পরিচালনা কমিটির সভাপতি রঞ্জিত মিত্র, সম্পাদক বিপ্লব কুমার দে, সহ-সভাপতি দেবনাথ, রূপন মিত্র, সুজিত মিত্র, নিউটন মিত্র, কাবুল মিত্র, রতন দে, তুহিন দে, ছূটন দে, বিউটি দে, শিখা দে, সুজিত দে সহ অন্যান্যরা।