শরীফনগর এলাকার বানভাসিদের খোঁজ নিলেন সিদ্দেক

মোহাম্মদ জনি, করিমগঞ্জ।
বরাক তরঙ্গ, ১৮ জুলাই : করিমগঞ্জ জেলার শহরতলির বৃহত্তর শরীফনগর এলাকার বানভাসিদের খোঁজ নিলেন দক্ষিণ করিমগঞ্জের বিধায়ক তথা প্রাক্তন সমবায় মন্ত্রী সিদ্দেক আহমেদ। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার প্রাক মুহূর্তে শরিফনগর, ফকিটিলা, বাঘন ইত্যাদি এলাকা পরিদর্শন করেন। জলে প্লাবিত অনেক লোকদের সঙ্গে দেখা করেন এবং তাদের দুঃখ দুর্দশার কথা শুনেন দক্ষিণ করিমগঞ্জের বিধায়ক সিদ্দেক আহমেদ। পরে তিনি শরীফনগর বাজার সংলগ্ন পার্শ্ববর্তী স্থানের মকবুল আলির বাড়িতে এক সংক্ষিপ্ত সভায় মিলিত হন। ওইসব এলাকার বন্যায় আক্রান্তদের দুঃখ দুর্দশার কথা তুলে ধরে তাদের সরকারি সাহায্য পাইয়ে দেওয়ার পাশাপাশি শারিফনগর বাজার থেকে ফকিরটিলা ও বাঘন পর্যন্ত বেহাল রাস্তা সহ এলাকার একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্রিজের কথা তুলে ধরে তা শীঘ্রই মেরামত করে দেওয়ার একটি ব্যবস্থা করে দিতে এ সভায় উপস্থিত সবাই  বিধায়ক সিদ্দেক আহমেদের কাছে জোরালো ভাবে আর্জি রাখেন।

বিধায়ক সিদ্দেক আহমেদ তার ডাকে সাড়া দিয়ে গরমের মধ্যে কষ্ট করে এত লোক উপস্থিত হওয়ায় তিনি প্রথমে সবাইকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। তারপর তিনি উপস্থিত সবাইকে আশ্বস্থ করে বলেন, যদিও এই স্থান এখনও উত্তর করিমগঞ্জের অধীন তবুও দক্ষিণ করিমগঞ্জের আওতাধীন এসে গেছে এবং ওই এলাকায় তার পূর্বপুরুষের ভিটেমাটি ছিল এবং এখানকার মানুষ তাকে ভোটের সময় অনেক সাহায্য সহযোগিতা করেছেন। তাই ওই এলাকার মানুষের ভালবাসার প্রতিদান হিসেবে তিনি এলাকার রাস্তাঘাট ও একটি সেতুর ব্যাপারে সর্বাত্মক ঝাঁপিয়ে মুখ্যমন্ত্রী নজরে এনে একটা কিছু করার চেষ্টা করবেন বলে উপস্থিত সবাইকে আশ্বাস দেন।

এদিন শরিফনগর এলাকা পরিদর্শনে তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন সালেহ আহমদ, সিসি ক্লাব সভাপতি খয়রুল আলম চৌধুরী (আবু), প্রাক্তন জিপি সভাপতি হোসেন আহমেদ চৌধুরী, মইন উদ্দিন, ইসলামুল হক নোমান, কবির উদ্দিন, শিক্ষাবিদ আতিকুর রহমান চৌধুরী, মেম্বার মকবুল আলি, মওলানা সুয়েল আহমেদ নোমানি, হারুন রশিদ, নুর উদ্দিন, সহ অনেকে।

Author

Spread the News