বাজারিছড়ার শান্তিনগর ১১৬৮ এলপি স্কুলের পাকা সিঁড়ির উদ্বোধন

বাজারিছড়ার শান্তিনগর ১১৬৮ এলপি স্কুলের পাকা সিঁড়ির উদ্বোধন

মোহাম্মদ জনি, পাথারকান্দি।
বরাক তরঙ্গ, ২৭ ফেব্রুয়ারি : বাজারিছড়া জিপির শান্তিনগর গ্রামের ১১৬৮ নম্বর এলপি স্কুলের পাকা সিঁড়ির উদ্বোধন করা হল। শ্রীভূমি জেলা পরিষদের ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম কিস্তির অর্থায়নে এই সিঁড়ি নির্মাণ করা হয়েছে। লোয়াইরপোয়া আট নম্বর জেলা পরিষদ সদস্যা সহেলী দে এই প্রকল্পের জন্য ৬ লক্ষ টাকা মঞ্জুর করেন। বৃহস্পতিবার বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে ভারতীয় জনতা পার্টির প্রদেশ কমিটির কার্যকরী সদস্য হৃষিকেশ নন্দী ফিতা কেটে আনুষ্ঠানিকভাবে এই সিঁড়ি উদ্বোধন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুমন্ত শুক্লবৈদ্য, বিদ্যালয় পরিচালন সমিতির সভাপতি প্রদীপ ধর, শ্রীভূমি জেলা কিষান মোর্চার সভাপতি অমিতাভ দে, সিতাংশু দত্ত, সূচরীত পাল, লোয়াইরপোয়া ব্লক মণ্ডল বিজেপির সাধারণ সম্পাদক ধ্রুব চক্রবর্তী, রিন্টু বিশ্বাস, মনোজ নাগ, শম্ভু চন্দ, বিরাজ পালসহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।

বাজারিছড়ার শান্তিনগর ১১৬৮ এলপি স্কুলের পাকা সিঁড়ির উদ্বোধন

বিদ্যালয়ের ইতিহাস তুলে ধরে হৃষিকেশ বাবু ও প্রধান শিক্ষক জানান, ১৯৭৬ সালে প্রতিষ্ঠিত এই বিদ্যালয় শান্তিনগর গ্রামের একমাত্র শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠার সময় গ্রামের শিশুদের দূরবর্তী বিদ্যালয়ে যেতে হতো, যা শিক্ষার ক্ষেত্রে একটি বড় বাধা ছিল। তাই স্থানীয় শিক্ষার উন্নয়নে টিলাভূমিতে বিদ্যালয়টি স্থাপন করা হয়। তবে প্রবেশপথের অসুবিধার কারণে দীর্ঘদিন ধরে ছোট শিশুদের শ্রেণিকক্ষে যেতে সমস্যা হতো। বিদ্যালয়ের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক তপন দত্ত দীর্ঘ দশ বছর ধরে পাকা সিঁড়ি নির্মাণের জন্য পঞ্চায়েত স্তরে প্রচেষ্টা চালিয়ে যান। পরবর্তীতে সদ্য প্রাক্তন জেলা পরিষদ সদস্যা সহেলী দে সরেজমিনে পরিদর্শন করে বিদ্যালয়ের প্রবেশপথ নির্মাণের উদ্যোগ নেন। পাথারকান্দির বিধায়ক তথা রাজ্যের কর্মদ্যোগী মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু পালের সহায়তায় সরকারি প্রকল্পের মাধ্যমে এই সিঁড়ি বাস্তবায়িত হয়।

বাজারিছড়ার শান্তিনগর ১১৬৮ এলপি স্কুলের পাকা সিঁড়ির উদ্বোধন

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিদ্যালয়ের পরিচালন সমিতির কর্মকর্তাসহ স্থানীয় বাসিন্দারা মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু পাল, সহেলী দে এবং অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক তপন দত্তকে কৃতজ্ঞতা জানান। নতুন পাকা সিঁড়ি নির্মাণের ফলে শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে যাতায়াতের দীর্ঘদিনের অসুবিধা দূর হল, যা শিক্ষার পরিবেশকে আরও উন্নত করবে বলে সবাই আশাবাদী।

Author

Spread the News