ছাত্র-পণ্ডিতদের মধ্যে আন্তঃ প্রজন্মগত বন্ধন নিয়ে সংবেদনশীলতা কর্মসূচি আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ে

বরাক তরঙ্গ, ৬ মার্চ : বৃহস্পতিবার আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগ এবং রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের যৌথ উদ্যোগে এবং ভারত সরকারের সামাজিক ন্যায়বিচার ও ক্ষমতায়ন মন্ত্রকের অধীনে জাতীয় সামাজিক প্রতিরক্ষা প্রতিষ্ঠান (এনআইএসডি) এর সহযোগিতায় ছাত্র ও পণ্ডিতদের মধ্যে আন্তঃপ্রজন্মগত বন্ধন নিয়ে একটি সংবেদনশীলতা কর্মসূচির আয়োজিত হয়। বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী অধিবেশনে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর দেবোতোষ চক্রবর্তী, সমাজকর্ম বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর তরুণ বিকাশ সুকাই, বিশ্ববিদ্যালয়ের এনএসএস প্রোগ্রাম অফিসার প্রফেসর এম গঙ্গাভুষণ, সমাজকর্ম বিভাগের বরিষ্ঠ অধ্যাপক প্রফেসর শুভব্রত দত্ত এবং অনুষ্ঠানের সমন্বয়কারী ড. জয়শ্রী দে উপস্থিত ছিলেন।

এদিন স্বাগত বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রফেসর তরুণ বিকাশ সুকাই অনুষ্ঠানের গুরুত্ব তুলে ধরেন। প্রফেসর দেবোতোষ চক্রবর্তী এই ধরণের সংবেদনশীলতা কর্মসূচির প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা করেন। তিনি দুটি আইন – পিতামাতা ও প্রবীণ নাগরিকদের রক্ষণাবেক্ষণ ও কল্যাণ আইন, ২০০৭ এবং প্রণাম আইন ২০১৭ – তুলে ধরেন। তরুণদের সামাজিক বিষয় নিয়ে গবেষণা করা এবং তত্ত্ব ও অনুশীলনের মধ্যে ব্যবধান দূর করার আহ্বান জানান প্রফেসর দেবতোষ চক্রবর্তী। 

ছাত্র-পণ্ডিতদের মধ্যে আন্তঃ প্রজন্মগত বন্ধন নিয়ে সংবেদনশীলতা কর্মসূচি আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ে

এদিন রিসোর্স পার্সন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরমানন্দ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের অধ্যক্ষ প্রফেসর এম গঙ্গাভূষণ এবং ড. পার্থ প্রদীপ অধিকারী। উভয় বক্তাই একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ন্যায়সঙ্গত সমাজ গঠনের জন্য সময়ের প্রয়োজনীয় প্রজন্মের মধ্যে ব্যবধান কমানোর গুরুত্ব তুলে ধরেন। প্রফেসর এম. গঙ্গাভূষণ তরুণ প্রজন্মের মধ্যে সহনশীলতা এবং করুণার গুরুত্ব তুলে ধরেন, যাতে পুরোনো প্রজন্মের কাছ থেকে জ্ঞান কেড়ে নেওয়া যায়। ড. অধিকারী দুঃখ প্রকাশ করে বলেন যে বাবা-মা আমাদের জীবনের স্তম্ভ, বাবা-মাকে মূল্য না দিয়ে আমরা জীবনে উন্নতি করতে পারি না। অনুষ্ঠানে আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও সমাজকর্ম বিভাগের ১০০ জন শিক্ষার্থী এবং পণ্ডিত উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানটির তুলনা করেন অবন্তিকা রাউত। 

Author

Spread the News