সজলকুমার দত্ত মজুমদারের স্মৃতিতে গান্ধী শান্তি প্রতিষ্ঠানে এক লক্ষ টাকা দান ছেলের
বরাক তরঙ্গ, ১৪ জুন : শিলচর গান্ধী শান্তি প্রতিষ্ঠানের কার্যকরী সভাপতি আইনজীবী শেখর পাল চৌধুরীর আন্তরিক প্রচেষ্টায় কলকাতার সুনামধন্য চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার সৌম্যজ্যোতি দত্ত মজুমদার তাঁর পিতৃদেব সজলকুমার দত্ত মজুমদার স্মৃতি রক্ষার্থে একলক্ষ টাকার চেক গান্ধী শান্তি প্রতিষ্ঠান কতৃপক্ষের হাতে তুলে দিয়েছেন। শনিবার ডাঃ দত্ত মজুমদার অত্যন্ত আবেগপ্রবণ হয়ে বলেন, তাঁর ছোটবেলা কেটেছে বাবার প্রচণ্ড অনুশাসনে। বাবা কঠিন ও কোমলের সংমিশ্রণ ছিলেন। মানুষের সাহায্যে হাত বাড়িয়ে দেওয়া অভ্যাসে পর্যবসিত হয়ে গিয়েছিল। সাহিত্য অনুরাগী, সঙ্গীতপ্রেমী এবং একজন দারুন ফুটবল খেলোয়াড়ও ছিলেন। এই শিলচর শহরের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে তাঁর অবাধ বিচরণ ছিল। সবাইকে চিনতেন এবং মানুষের সঙ্গে নিঃস্বার্থ ভালোবাসার জন্য অত্যন্ত জনপ্রিয়ও ছিলেন। মাতৃভক্তি দেখেছিলাম যখন তাঁর মায়ের অর্থাৎ ডাক্তার সৌম্যজ্যোতি দত্ত মজুমদারের ঠাকুমা ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছিলেন। মায়ের সেবায় আত্মনিয়োগ করেছিলেন। বাবার আদর্শে তিনিও অনুপ্রাণিত।
অসম অ্যাপেক্স ব্যাঙ্কের একজন একনিষ্ঠ কর্মী ছিলেন এই সজলকুমার দত্ত মজুমদার। পিতৃঋণ মাতৃঋণ কখনও শোধ করা যায় না। কিন্তু বাবার স্মৃতিতে এই দান শুধু শ্রদ্ধা নিবেদন করা ছাড়া আর কিছু নয়। গান্ধী শান্তি প্রতিষ্ঠানে এই মহৎ দান সাদরে গৃহীত হয়েছে। গান্ধী শান্তি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে প্রতিবছর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের জন্য মেধা পরীক্ষার আয়োজন করা হয়ে থাকে। এই মেধা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা পঞ্চাশ শতাংশ পাওয়া প্রত্যেক ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে শংসাপত্র এবং পুরস্কার প্রদান করা হয়। এই বছর থেকে ডাক্তার সৌম্যজ্যোতি দত্ত মজুমদারের বাবা সজলকুমার দত্ত মজুমদারের স্মরণে এই শংসাপত্র প্রদান করা হবে।
এ দিন শিলচর গান্ধী শান্তি প্রতিষ্ঠানে এক সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে ডাঃ সৌম্যজ্যোতি দত্ত মজুমদারকে উত্তরীয় পরিয়ে সম্মান জানানো হয়। এবং সাদরে চেক গ্রহণ করা হয়। উপস্থিত ছিলেন সভাপতি শান্তনু দাস, কার্যকরী সভাপতি আইনজীবী শেখর পাল চৌধুরী সাধারণ সম্পাদক অশোককুমার দেব প্রমুখ।
