বিদ্যুৎ : গুয়াহাটিতে গণ শুনানিতে অংশ নিলেন কনজিউমার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিরা
বরাক তরঙ্গ, ১ মার্চ : অসমের বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানি এপিডিসিএল ২০২৪-২৫ অৰ্থ বছরের বিদ্যুতের মাশুল নিৰ্ধারনের জন্য অসম ইলেকট্রিসিটি রেগুলেটরি কমিশনের কাছে দাখিল করা প্ৰস্তাবের উপর আজ কমিশনের পক্ষ থেকে গণ শুনানির আয়োজন করা হয়। রাজ্যের বিদ্যুৎ গ্রাহকদের একমাত্র সংগঠন অল আসাম ইলেকট্রিসিটি কনজিউমার্স অ্যাসোসিয়েশন এর উপদেষ্টা বিমল দাস, অন্যতম আহ্বায়ক হিল্লোল ভট্টাচার্য ও রাজ্য শাখার সদস্য সব্যসাচী দেব গুয়াহাটিতে গণ শুনানিতে অংশগ্ৰহণ করেন। উল্লেখ্য যে কনজিউমার্স অ্যাসোসিয়েশন ইতিমধ্যেই এপিডিসিএল’র বিদ্যুতের মাশুল বৃদ্ধির প্ৰস্তাবের তীব্র বিরোধিতা করে রেগুলেটরি কমিশনের নিকট লিখিত বক্তব্য গত ১২ ফেব্রুয়ারি প্রদান করে। যেখানে উল্লেখ করা হয় যে যে আসামে বিদ্যুৎ মাশুল বৃদ্ধি করা নিয়মিত ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। সংগঠনের পক্ষ থেকে এও বলা হয় যে বিদ্যুতের মাশুল নিৰ্ধারনের ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ আইন, ২০০৩ এর ৬১ নং ধারাকে মেনে চলা উচিত। যেখানে দক্ষতা, প্ৰতিযোগিতাকে উৎসাহিত করার জন্য সম্পদের প্রয়োজনীয় ও লাভজনক ব্যবহার, সৰ্বোত্তম বিনিয়োগ এবং সাধারন গ্রাহকদের স্বাৰ্থকে অগ্ৰাধিকার দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
সংগঠনের পক্ষ থেকে এও বলা হয় যে বিদ্যুৎ ক্ৰয়ে এপিডিসিএল এর একটি বিশাল টাকা যদিও খরচ হয় কিন্তু এই অজুহাতে মাশুল বৃদ্ধি করার তাদের আবেদন উপযুক্ত ও অভিজ্ঞ লোক দিয়ে সূক্ষ্মভাবে বিশ্লেষণ করে দেখা প্ৰয়োজন। এছাড়াও বলা হয় যে, এপিডিসিএল’র কিছু নিজস্ব সিদ্ধান্ত কোম্পানীর লোকসানের অন্যতম কারণ। এসব সিদ্ধান্তই গ্রাহকদের স্বাৰ্থ বিঘ্নিত করছে। উদাহরণ হিসাবে অভিযোগ নিষ্পত্তি ফোরামে দাখিল করা ২০/২০২১ নং মামলার কথাও উল্লেখ করা হয়। এপিডিসিএলর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দুৰ্নীতির পরিণাম ভুগতে হচ্ছে সাধারণ গ্রাহকদের। বিদ্যুতের সৰ্বোচ্চ চাহিদার সময় কিছু অসাধু ফেক্টরি ‘সিটিপিটি’ মিটার নষ্ট হওয়া বা জ্বলে যাওয়ার অজুহাত দেখিয়ে এপিডিসিএল’র উপর মহলের যোগসাজশে মিটার ছাড়াই বিদ্যুৎ ব্যবহার করে। ফলে বিশাল ক্ষতির সম্মুখীন হয় এপিডিসিএল এবং তা পূরণ করতে সাধারণ গ্রাহকদের কাঁধে মাশুল বৃদ্ধির বোঝা চাপিয়ে দেয়। এধরনের দুৰ্নীতি অবিলম্বে বন্ধ করতে কনজিউমার্স অ্যাসোসিয়েশন এর পক্ষ থেকে রেগুলেটরি কমিশনের নিকট জোরালো বক্তব্য পেশ করা হয়।
সংগঠনের পক্ষ থেকে এটাও উল্লেখ করা হয় যে, রেগুলেটরি কমিশনের গত বছরের নিৰ্দেশে বলা হয়েছিল যে বিদ্যুৎ গ্রাহকদের অভিযোগ নিস্পত্তির জন্য উপ-সংমণ্ডল পৰ্যায়ে ফোরাম গড়ে তুলতে হবে। কিন্তু আজ অবধি তা কাৰ্যকর হয়নি। অ্যাসোসিয়েশন এর পক্ষ থেকে উত্থাপিত বিষয়গুলো গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে কোন ধরনের মাশুল বৃদ্ধি যাতে করা না হয় সে ব্যাপারে রেগুলেটরি কমিশনের নিকট আহ্বান জানায় অল আসাম ইলেকট্রিসিটি কনজিউমার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিরা।