মানবিক খাতিরে উচ্ছেদ হওয়া ভারতীয়দের পুনর্বাসন দেওয়া হোক
বরাক তরঙ্গ, ২১ জুলাই, সোমবার,
সরকারি জমি দখল মুক্ত করা চলছে
রাজ্যজুড়ে। সরকার বিভিন্ন জায়গায় উচ্ছেদ অভিযান চালাচ্ছে। সরকার তার নিয়মেই উচ্ছেদ প্রক্রিয়া চালাচ্ছে। যদি সরকার সুপ্রিম কোর্টের কথা মতে যারা ভারতীয় নাগরিক, এদের উচ্ছেদ করলে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করলে হয়তো কারও আপত্তি থাকতো না।
প্রতিদিন যেভাবে বাংলাদেশের নাগরিক ত্রিপুরা ও অসমের সীমান্ত দিয়ে অবৈধ ভাবে প্রবেশ করছে তাতে বাংলাদেশি নেই তেমন গ্যারান্টি দেওয়া যাবে না। তবে উচ্ছেদ হওয়া লোকদের সিংহ ভাগ ভারতীয়। রয়েছে তাদের কাছে নথিপত্রও। নানা কারণে অসহায় হয়ে আশ্রয় নিয়েছে সরকারি ভূমিতে।
অসম বন্যাপ্রবণ রাজ্য। বন্যার জন্যে বাড়িঘর ভেঙে যায় বিভিন্ন স্থানে। এরা বনাঞ্চলে আশ্রয় নেয়। আবার কিছু লোকের আদৌ নিজস্ব ভিটেমাটি নেই, হতদরিদ্র এরাও বনাঞ্চলের জমিতে বসতি গড়ে। আর এর সুযোগ নেয় একাংশ অনুপ্রবেশকারীও।
দরিদ্র, অসহায় যেসব মানুষ দায়ে পড়ে বনাঞ্চলের জমি দখল করে বাড়িঘর নির্মাণ করেছেন, মানবিকতার খাতিরে এদের পুনর্বাসন জরুরি। যাচাই করে ভারতীয় নাগরিকদের প্রধানমন্ত্রী আবাস মঞ্জুর করে ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হোক।
বনাঞ্চলের ভূমি জবরদখল করে ঘনবসতির পেছনে রয়েছে রাজনৈতিক প্রশ্রয়। আগের সরকারগুলো জমি দখল নিয়ে বেশ গুরুত্ব দেয়নি। ফলে নারকেল বাগান, সুপারি বাগান, বড় বড় ফিশারি তৈরি করে বছরে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করে কিছু লোক। একদিনে এগুলো তৈরি করা যায় না। শুধুমাত্র বন বিভাগ নয়, রাজনৈতিক প্রশ্রয় ছাড়া তা অসম্ভব। জবরদখল জমিতে স্কুল, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, বাজার ইত্যাদি গড়ে উঠেছে। পাকা ঘর নির্মিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী আবাস পেয়েছে একাংশ মানুষ। বিদ্যুৎ সংযোগ পৌঁছেছে। প্রশাসনিক এবং রাজনৈতিক সহযোগিতা ছাড়া এসব সম্ভব? তাঁরা বুঝতেই পারেনি একদিন খোলা আকাশের নিচে থাকতে হবে তাদের।