চিল-শকুনকে নয়, দাহ করা হল রতন টাটার দেহ
১০ অক্টোবর : শিল্পপতি রতন টাটা মারা গেছেন। তার মৃত্যুতে ভারতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তিনি একজন পার্সি ছিলেন। ভারতে পারসিদের জনসংখ্যা খুবই কম। ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুসারে, ভারতে ৫৭,২৬৪ জন পার্সি ছিল।
যাইহোক, ভারতীয় পার্সিয়ানরা দেশের অর্থনীতি বৃদ্ধিতে অনেক অবদান রেখেছে।
টাটা পরিবার এর উদাহরণ। পার্সিদের সাথে সম্পর্কিত আরেকটি বিষয় বিশ্বকে অবাক করে। এটাই তাদের শেষকৃত্যের ঐতিহ্য। জরথুষ্ট্রিয়ানিজমে অর্থাৎ পারসি অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া ঐতিহ্যে, যারা মারা যায় তাদের মৃতদেহ পোড়ানো বা সমাহিত করা হয় না।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পারসিদের মধ্যে মৃতদেহ টাওয়ার অব সাইলেন্সে রাখার প্রথা রয়েছে। একে ‘ডাকমা’ বলা হয়। এটি মুম্বাইয়ের একটি জায়গা, যেখানে মৃতদেহ রাখা হয়। এখানে শকুন রয়েছে। মৃতদেহ শকুনের হাতে তুলে দেওয়া হয়। কে আঁচড়ে খায়। কিন্তু ভাবার বিষয় এই ধর্মে শেষকৃত্য কেন এমন?
মৃতদেহ শকুনকে খাওয়ানোর মাধ্যমে সেই অশুভ শক্তিগুলি সরাসরি কোনো উপাদানে পাওয়া যায় না, কিন্তু পরোক্ষভাবেও পাওয়া যায়। এটাই মানুষের শেষ দান বলে মনে করা হয়। দ্য হিন্দুর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই ঐতিহ্য ধীরে ধীরে পারসিদের মধ্যে শেষ হয়ে যাচ্ছে কারণ শকুন বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। এখন পার্সিদের মধ্যে মৃতদেহ পোড়ানোর প্রথা শুরু হয়েছে।