ধর্ষণকাণ্ড : ২০ বছরের কারাবাস যুবকের

বরাক তরঙ্গ, ১৪ অক্টোবর : নাবালিকাকে ধর্ষণের মামলায় যুবককে ২০ বছর কারাবাসের সাজা শোনালো কাছাড়ের অ্যাডিশনাল সেশন জজ (স্পেশাল জজ, পসকো) নারায়ণ কুরির আদালত। সাজাপ্রাপ্ত যুবক এনামুল হক লস্কর (২৪) উধারবন্দ থানা এলাকার ডুমুরঘাটের বাসিন্দা।

ধর্ষণের ঘটনা ঘটে ২০২৪ সালের ৭ জুন। বছর ১৪-র নাবালিকার বাড়ি উধারবন্দ থানা এলাকারই চণ্ডীঘাট বাগানে। ওইদিন রাত আটটা নাগাদ নাবালিকা তার বাড়িতে একটি ঘরে পড়াশোনা করছিল। পাশে রান্নাঘরে রান্না করছিলেন মা, বাবা ছিলেন বাইরে। তখন ঘর থেকে নাবালিকাকে অপহরণ করা হয়। রান্নাঘর থেকে মা হঠাৎ করে নাবালিকা যে ঘরে পড়াশোনা করছিল সেই ঘরে গিয়ে দেখেন মেয়ে নেই। অনেক খোঁজাখুজি করেও মেয়েকে পাওয়া যায়নি। পরদিন দিনের বেলা এনামুল নাবালিকাকে তার বাড়ির কাছে এনে ছেড়ে দিয়ে যায়।

ঘটনা নিয়ে নাবালিকার পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় দায়ের করা হয় এজাহার। এতে অভিযোগ করা হয় অপহরণের সময় এনামুল অটো নিয়ে নাবালিকার বাড়ির অদূরে অপেক্ষা করছিল। আর নাবালিকাকে বাড়ি থেকে ফুসলিয়ে নিয়ে এনামুলের হাতে তুলে দেন প্রতিবেশী সেলিম উদ্দিন নামে এক ব্যক্তি ও তার পত্নী। এনামুল নাবালিকাকে এভাবে অটোতে করে নিয়ে যাওয়ার পর কয়েক কিলোমিটার দূরবর্তী অরুণাবন্দ বাগানের পাশে নির্জন স্থানে অটোর ভেতরেই দু’বার যৌন সম্পর্ক করে। রাত কাটায় তারা অটোতেই। পরদিন এনামুল নাবালিকাকে ছেড়ে যায় বাড়ির পাশে। নাবালিকা জানায়, এনামুলের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তবে সে যে বিবাহিত তা জানা ছিল না। তাকে নিয়ে যাওয়ার পর একথা জানতে পারে।

ধর্ষণকাণ্ড : ২০ বছরের কারাবাস যুবকের

ঘটনা নিয়ে তদন্ত প্রক্রিয়ার পর পুলিশ আদালতে চার্জশিট পেশ করে। এতে অবশ্য শুধু এনামুলকেই অভিযুক্ত করা হয়। এরপর পর্যায়ক্রমে আদালতে শুরু হয় বিচার প্রক্রিয়া। বিচার প্রক্রিয়া শেষে সোমবার আদালত রায় ঘোষণা করে। এতে এনামুলকে দোষী সাব্যস্ত করে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৬৩ ধারায় ৩ বছর কারাবাসের সাজা শুনিয়ে সঙ্গে জরিমানা করা হয়েছে ৫ হাজার টাকা। জরিমানা অনাদায়ে তাকে ভোগ করতে হবে আরও ১ মাসের কারাদণ্ড। এছাড়া পসকো আইনের ৪ নম্বর ধারায় ২০ বছর কারাবাসের সাজা শুনিয়ে সঙ্গে জরিমানা করা হয়েছে ২০ হাজার টাকা। এক্ষেত্রে জরিমানা অনাদায়ে তাকে ভোগ করতে হবে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড। দু’টি সাজা চলবে একসঙ্গে।

Spread the News
error: Content is protected !!