করিমগঞ্জের বানভাসিদের মধ্যে ত্রাণ বণ্টন অব্যাহত রামকৃষ্ণ মিশনের
বরাক তরঙ্গ, ৪ জুলাই : সমাজ সেবামূলক কাজে নজির প্রতিষ্ঠান রামকৃষ্ণ মিশনের। স্বাস্থ্য শিবির থেকে শুরু করে দরিদ্র সীমার নীচে বসবাসকারী মানুষের সাহায্যে সব সময় স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে এগিয়ে আসে রামকৃষ্ণ মিশন। বন্যা হোক বা ঘূর্ণিঝড় ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের পাশে সর্ব শক্তি নিয়ে তাঁদের উদ্ধার থেকে খাওয়া দাওয়া, পোশাক নিয়ে হাজির থাকতে বারবারই দেখা গিয়েছে করিমগঞ্জ রামকৃষ্ণ মিশনকে।
গত ২০ দিন থেকে ক্রমাগত ভাবে কয়েক লক্ষাধিক টাকার ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে করিমগঞ্জের বানভাসিদের মধ্যে। এবার ঘূর্ণিঝড় এবং শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া অসহায়দের পাশে দাঁড়িয়েছে করিমগঞ্জ রামকৃষ্ণ মিশন। বৃহস্পতিবার করিমগঞ্জের বিভিন্ন গ্রামের ৪৯ টি পরিবারের মধ্যে ৮ ফুটের ৮৫৫ টি ঢেউ টিন এবং ৮৭ টা টুল্লি তোলে দেন করিমগঞ্জ রামকৃষ্ণ মিশনের স্বামী প্রভাসানন্দজি এবং পূর্ণপ্রজ্ঞানন্দ মহারাজ। এদিন মহারাজের সঙ্গে স্বেচ্ছাসেবক হিসাবে সঙ্গে থাকেন উত্তম ভট্টাচার্য, কিরণ্ময় দাস, সজল শুক্ল, মৃনাল দাস সহ অনেকে।
করিমগঞ্জ রামকৃষ্ণ মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী প্রভাসানন্দজি মহারাজ বলেন, রামকৃষ্ণ মিশন বা মঠের মূল আদর্শই হচ্ছে মানুষের মধ্যে সেবামূলক কাজ করে যাওয়া। করিমগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় এবারে বন্যা হওয়ার পর নিচু জায়গার বাসিন্দাদের ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সরকার পক্ষ থেকে যত্ন নেওয়া হলে তা যথেষ্ট হয়নি। গত এক মাস আগে ঘূর্ণিঝড় এবং শিলাবৃষ্টিতে অনেক পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এরপরই অসহায়দের মধ্যে ঢেউ টিন বিতরণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
প্রভাসানন্দজি বলেন, প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের বাছাই করতে আশ্রমের একজন সন্ন্যাসী সদস্যের নেতৃত্বে মিশন স্বেচ্ছাসেবকদের সমন্বয়ে একটি বিশদ জরিপ দল গঠন করা হয় এবং গ্রামে গ্রামে গিয়ে প্রয়োজনীয় সামগ্রীর সত্যতা এবং প্রকার যাচাই করে পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য তাদের প্রতিবেদন জমা দিলে চূড়ান্ত তালিকা প্রস্তুত করা হয়। পরবর্তীতে যার যতটুকু প্রয়োজন সেই হিসাবে প্রথম দফায় ৪৭টি পরিবারের মধ্যে ঢেউ টিন তোলে দেওয়া হয়। কিছু ক্ষেত্রে যেখানে বাঁশ দিয়ে কাঠামো তৈরি করা এবং ক্ষতিগ্রস্ত সেখানে বাঁশ দিয়ে দেওয়া হয়।