পাথারকান্দিতে রাজা রামমোহন রায়ের ২৫৩ তম জন্মজয়ন্তী পালন

মোহাম্মদ জনি, করিমগঞ্জ।
বরাক তরঙ্গ, ২৩ মে : পাথারকান্দিতে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে নবজাগরনের অগ্রদূত রাজা রামমোহন রায়ের ২৫৩ তম জন্ম জয়ন্তী পালিত হল। বুধবার অনুষ্ঠানের শুরুতেই পাথারকান্দি মডেল হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলের প্রবেশদ্বারে রাজা রামমোহন রায়ের স্থায়ী প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করে বিশেষ শ্রদ্ধা জানান উপস্থিত বিশিষ্টজন সহ স্কুল পড়ুয়ারা। অনুষ্ঠানে মুখ্য আয়োজক সমাজসেবী সুরঞ্জন দাস ও গান্ধী প্রেমী ছাদ উদ্দিন ও সমাজসেবী বিষ্ণুমূর্তি সিংহের উদ্দ্যোগে আয়োজিত এদিনের অনুষ্ঠানে মুখ্য অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পাথারকান্দির বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ তথা মডেল হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলের প্রাক্তন অধ্যক্ষ শ্যামাপদ দে।

তিনি বক্তব্যে ভারতের নবজাগরনের পথিকৃত রামমোহন রায়ের জীবনের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি বলেন, কুসংস্কারাছন্ন ভারতে পাশ্চাত্য শিক্ষা ও জ্ঞানের দীপ জ্বালানোর ক্ষেত্রে প্রবল প্রতাপের সঙ্গে লড়াই করে গিয়েছিলেন রাজা রামমোহন রায়। এমনকি তাঁর হাত ধরেই একসময় সতীদাহের মতো ভয়ঙ্কর প্রথার অবসান হয়েছিল এই ভারতে। যারজন্য এই কৃতিত্বের জন্য ব্রিটিশ সরকার রাম মোহন রায়কে ‘রাজা’ উপাধিতে ভূষিত করে। তিনি আরোও বলেন সাহিত্য, ধর্ম, শিক্ষা-বিজ্ঞান, সমাজ নীতি, রাষ্ট্রনীতি এসব ক্ষেত্রেই আপামর ভারতবাসীকে আধুনিকতার পাঠ দিয়েছিলেন রাজা রামমোহন।

এর আগে স্বাগতিক বক্তব্যে স্কুলের বর্তমান অধ্যক্ষ জ্যোতির্ময় নাথ দিনটির তাৎপর্য ব্যাখা করে ছাত্রছাত্রীদেরকে রাজা রামমোহন রায়ের জীবনের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন । টিঙ্কু গুপ্ত  তাঁর বক্তব্যে কুসংস্কারে আচ্ছন্ন তৎকালীন সময়ের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে সতীদাহের মত জঘন্য প্রথার বিরুদ্ধে রাজা রামমোহন রায়ের বলিষ্ঠ পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করেন। সবশেষে ধন্যবাদ সূচক বক্তব্যে সিদ্ধার্থ শেখর পাল চৌধুরী এই সব মণীষীদের জন্মদিন পালনের প্রাসংগিকতার উপর জোর দেন।  তিনি বলেন, এই সব মনিষীদের  ভাবনা যদি বর্তমান প্রজন্মের চিন্তা ও চেতনায় কিছুটা হলেও অনুরণন জাগায় তবেই আয়োজকদের প্রচেষ্টা সার্থক হবে। অনুষ্ঠানে এদিন অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্কুলের শিক্ষক আলতাফ হোসেন, লালমোহন সিনহা প্রমুখ।

Author

Spread the News