রাধামাধব কলেজে বিতর্ক প্রতিযোগিতা প্রাক্তনী সংস্থার

বরাক তরঙ্গ, ২৩ এপ্রিল : মঙ্গলবার শিলচর রাধামাধব কলেজে প্রাক্তনী সংস্থা দ্বারা কলেজ কনফারেন্স হলে আয়োজন করা হয় একটি বিতর্ক প্রতিযোগিতা। এর বিষয় ছিল “ইজ স্যোশাল মিডিয়া ইজ ব্লেসিংস অর এ কার্স ফর সোসাইটি”। এদিনের বিতর্ক প্রতিযোগিতা অংশগ্রহণ করা ছাত্র ছাত্রীদের মধ্যে পক্ষে ছিল অর্ধেন্দু চক্রবর্তী, গৌরব দাস, বর্ণমিতা ভট্টাচার্য এবং পঙ্কজ সূত্রধর। অন্যদিকে বিপক্ষে ছিলেন সুকান্ত দাস, পারমিতা পাল, গুরপ্রীত সিং এবং রোনাল্ড জোপারলিন। স্পিকার হিসেবে ছিলেন প্রাক্তনী সংস্থার কল্পিতা দেব। 

এদিন অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কলেজের উপাধ্যক্ষ রাহুল চক্রবর্তী। পরবর্তীতে কলেজের আইকিউএসি-র কো-অর্ডিনেটর সোনালী চৌধুরীও তাঁর মূল্যবান বক্তব্য তুলে ধরেন। প্রতিযোগিতার বিচারক হিসেবে এদিন উপস্থিত ছিলেন রাহুল চক্রবর্তী এবং অরুন্ধতী দত্ত চৌধুরী। বিচারকদের বরণ করে নেন প্রাক্তনী সংস্থার সাধারণ সম্পাদক রাজদীপ অধিকারী। 

রাধামাধব কলেজে বিতর্ক প্রতিযোগিতা প্রাক্তনী সংস্থার

এদিন কলেজ কনফারেন্স হলে যথারীতি শুরু হয় বিতর্ক প্রতিযোগিতা। পক্ষ এবং বিপক্ষ উভয়ের সদস্যরাই উপরিল্লিখিত বিষয়ের উপর তাদের মতামত তুলে ধরে। শেষে পক্ষ থেকে অর্ধেন্দু চক্রবর্তী এবং বিপক্ষ থেকে সুকান্ত দাস তাদের শেষ কথা তুলে ধরেন। বিতর্কের শেষে এই কথাই বের হয়ে আসে যে সামাজিক মাধ্যম আজকের দিনে আমাদের কতটুকু সাহায্য কিংবা ক্ষতি করেছে তা এক বিরাট প্রশ্ন! সে আশীর্বাদ বা অভিশাপ দুটোই হতে পারে, তা নির্ভর করে আমাদের সেই মাধ্যমগুলির ব্যবহারের উপর। পড়াশোনা থেকে ঘুরতে যাওয়া সবকিছুই আজই সোশ্যাল মিডিয়া ঠিক করে দিচ্ছে আমাদের একটু নজর দিলেই দেখা যায় ভিন্ন ভিন্ন বিজ্ঞাপন যা অজান্তেই নিয়ন্ত্রণ করছে আমাদের। অর্থাৎ আশীর্বাদ কিংবা অভিশাপ সমগ্রটাই ব্যবহারের উপর নির্ভরশীল। 

রাধামাধব কলেজে বিতর্ক প্রতিযোগিতা প্রাক্তনী সংস্থার

এদিন বিচারকদের মতামত অনুযায়ী অনুষ্ঠানে প্রথম স্থান অর্জন করে বিপক্ষের রোনাল্ড জোপারলিন, দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেন বিপক্ষের গুর প্রীত সিং এবং তৃতীয় স্থান অর্জন করেন পক্ষের গৌরব দাস।

Author

Spread the News