বিশ্বাস ও আশার নতুন ভোর মণিপুরে উদিত হচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী মোদি
বরাক তরঙ্গ, ১৩ সেপ্টেম্বর : ‘মণিপুর দৃঢ় সংকল্প এবং সাহসের ভূমি’, “আমি মণিপুরের জনগণের উৎসাহকে সালাম জানাই। ‘আমি কথা দিচ্ছি, আমি সবসময় তোমাদের সঙ্গে আছি’। শনিবার মিজোরামের রেল উদ্বোধনের পর পূর্ব সূচি অনুযায়ী মণিপুরে পৌঁছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। জাতিদাঙ্গার প্রায় আড়াই বছর পর মোদি এই প্রথম পৌঁছে এভাবেই আশ্বস্ত করলেন মণিপুরবাসীকে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০২৩ সাল থেকে মণিপুরে চলতে থাকা জাতিগত সহিংসতা প্রসঙ্গে বক্তব্য রেখে বলেন, মণিপুর ‘‘আশা ও আকাঙ্ক্ষার ভূমি’’ হলেও অশান্তির কারণে ক্ষতবিক্ষত হয়েছে।
তিনি উল্লেখ করেন যে তিনি ত্রাণ শিবিরে থাকা পরিবারগুলির সঙ্গে দেখা করেছেন এবং সেখান থেকে তিনি আত্মবিশ্বাস লাভ করেছেন যে ‘‘বিশ্বাস ও আশার নতুন ভোর মণিপুরে উদিত হচ্ছে।’’
প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন, উন্নয়নের মূল ভিত্তি হল শান্তি। একইসঙ্গে তিনি স্মরণ করিয়ে দেন যে গত ১১ বছরে উত্তর–পূর্বাঞ্চলের বহু সংঘাত আলোচনার মাধ্যমে সমাধান হয়েছে।
মোদি বলেন, ‘‘আমরা সন্তুষ্ট যে সম্প্রতি পাহাড় ও উপত্যকায় বিভিন্ন গোষ্ঠীর সঙ্গে আলোচনা শুরু হয়েছে। এগুলি হলো ভারতের সরকারের প্রচেষ্টা, যা আলোচনা, সম্মান এবং পারস্পরিক বোঝাপড়ার মাধ্যমে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য করা হচ্ছে।’’
সব সংগঠনকে সহিংসতা ত্যাগ করার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী যোগ করেন, ‘‘আমি আপনাদের অনুরোধ জানাচ্ছি শান্তির পথে এগিয়ে আপনার স্বপ্ন পূরণ করুন। আমি আপনাদের সঙ্গে আছি, ভারতের সরকার মণিপুরের জনগণের সঙ্গে আছে।’’
শনিবার প্রবল বর্ষণের মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী মোদি মণিপুরের ইম্ফলে উপস্থিত হন। প্রতিকূল আবহাওয়ার দরুন হেলিকপ্টারে না গিয়ে প্রধানমন্ত্রী চুড়াচাঁদপুরে সড়ক পথে পৌঁছেন।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের মে মাসে মণিপুরে উপত্যকা–প্রধান মেইতেই সম্প্রদায় এবং কুকি গোষ্ঠীর মধ্যে জাতিগত সংঘর্ষ শুরু হয়েছিল। এই সহিংসতায় ২৫০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হন। প্রায় ৬০ হাজার মানুষ ঘরছাড়া হয়ে এখনও সরকারের স্থাপিত অস্থায়ী শিবিরগুলোতে আশ্রয় নিতে বাধ্য রয়েছেন।