ঘুষ : হাইলাকান্দিতে ধরা পড়লেন পুলিশকর্মী
এবি লস্কর, হাইলাকান্দি।
বরাক তরঙ্গ, ১৫ নভেম্বর : ঘুষ নেওয়ার সময় হাতে নাতে ধরা পড়লেন এক পুলিশকর্মী। শুক্রবার বিকেলে লালা থানার অধীন আব্দুল্লাপুর পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই খুরশেদ আলিকে টাকা সমেত ধরা পড়েন দুর্নীতি দমন শাখার কর্মকর্তাদের হাতে। এক অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযানে নেমে দুর্নীতি দমন শাখার হাতে পাঁচ হাজার টাকার ঘুষ সহ গ্রেফতার হন তিনি। এনিয়ে তৃতীয়বার হাইলাকান্দি জেলায় সাফল্য অর্জন করে দুর্নীতি দমন শাখা। এই ঘটনায় জেলা জুড়ে চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে।
জানা গেছে সম্প্রতি লালা বার্নারপুর গ্রামের মস্তাক আহমেদ বড়ভূইয়ার উপর ছিনতাই মামলা করেন চন্দ্রপুরের এক ব্যক্তি। সেই মামলা বিচারে নিষ্পত্তি ঘটে থানায় বসে। কিন্তু এর মধ্যে মস্তাকের উপর বিবাদী আব্দুল্লাপুর পুলিশের সহযোগে মামলা পুনরায় রেজিস্টার করে। এবং মস্তাক হাইকোর্ট থেকে জামিন নেন। কিন্তু পুলিশ এই যুবকের পিছু ছাড়েনি।
যুবকের অভিযোগ, আব্দুল্লাপুর পুলিশ কর্তারা তার কাছে ষাট হাজার টাকা উৎকোচ দাবি করেন। তা না হলে তাকে অন্য মামলায় ফাঁসিয়ে জেলে প্রেরণ করবেন বলে হুমকি দেন। অবশেষে বাধ্য হয়ে যুবকটি গুয়াহাটি ছুটে যায়। সেখানে গিয়ে দুর্নীতির দমন শাখার সাথে যোগাযোগ করে বিষয়টি অবগত করেন। সেই মতে বৃহস্পতিবার গুয়াহাটি থেকে দুর্নীতি দমন শাখার ইন্সপেক্টর মারুফ আহমেদ চৌধুরী এবং ত্রিদীপ দত্তের নেতৃত্বে এক বড়সড় দল এই যুবককে নিয়ে লালায় ছুটে আসেন। এ দিন সকাল থেকে আব্দুল্লাপুর পুলিশে কর্তাদের হাতে টাকা হস্তান্তর করতে যুবকটি দৌড়ঝাঁপ শুরু করে। কিন্তু কাউকে পায়নি। অবশেষে সন্ধ্যে এএসআই খুরশেদ আলিকে ফোন করেন এবং টাকা সমঝে নিতে বলেন। ফোন পেয়ে খুরশেদ আলি থানার অল্প দূরে থাকা তার ভাড়া ঘর থেকে বের হয়ে বাইপাসে আসেন। সেখানে যুবকটি আব্দুল্লাপুর পুলিশের ধার্য করা ৬০ হাজার টাকা কিস্তিতে দিতে কতা বার্তা ফাইনাল করেন। এবং ক্যামিকেল লাগানো পাঁচ হাজার টাকা তুলে দেন এএসআই খুরশেদ আলির হাতে। এ সময় দুর্নীতি দমন শাখার ইন্সপেক্টর সহ তার দলবল এএসআই খুরশেদ আলিকে হাতে নাতে ধরে ফেলেন।