পিএম বিশ্বকর্মা প্রকল্পের প্রশিক্ষণ সম্পূর্ণ না হওয়ায় জেলাশাসকের দ্বারস্থ
বিশ্বজিৎ আচার্য, শিলচর।
বরাক তরঙ্গ, ১৪ মে : পিএম বিশ্বকর্মা প্রকল্পের প্রশিক্ষণ সম্পূর্ণ না হওয়ায় জেলাশাসকের দ্বারস্থ হলেন প্রশিক্ষার্থীরা। তাদের পাওনা টাকা না দিতে শেষ দিন আর সম্পন্ন করেনি বলে “অ্যাসেনসিভ এডুকেয়ার লিমিটেডের” এর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেন প্রশিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার জেলাশাসকের কাছে এক অভিযোগ নামা পেশ করেন তাঁরা।
তাঁরা জানান, গত ৯ ফেব্রুয়ারি পিএম বিশ্বকর্মা প্রকল্পের অধীনে সোনাই কেন্দ্রে ৬দিনের প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত করা হয়েছিল। কর্মশালায় পুরুষ ও মহিলা মিলিয়ে প্রায় ১৫০ জন প্রশিক্ষণার্থী জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে অংশগ্রহণ করেন। ৬ দিনের এই কর্মশালায় প্রত্যেক প্রশিক্ষণার্থীকে শেষদিন ৪০০০ টাকা খরচ বাবৎ প্রদান করার কথা জানানো হয়। কিন্তু শেষ দিন তাঁদের প্রশিক্ষণ সম্পূর্ণ করা হয়নি এবং তাঁদের আসা যাওয়ার খরচ বাবৎ ৪ হাজার টাকাও দেননি বলে “অ্যাসেনসিভ এডুকেয়ার লিমিটেডের”। কাছাড় জেলার লক্ষীপুর, বড়খলা, শিলচর, সোনাবাড়িঘাট ও কালাইন সহ দূরদূরান্ত থেকে শতাধিক প্রশিক্ষণার্থী নিজের খরচায় অনেক কষ্ট উঠিয়ে প্রশিক্ষণ কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন। সেখানে তাঁদের সেলাই প্রশিক্ষণ ও রাজ মিস্ত্রীর প্রশিক্ষণ দিয়ে শীঘ্রই ১৫ হাজার টাকার সেলাই মেশিন ও টুল কিড প্রদান করার আশ্বাস দেওয়া হয়। সোনাই কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত ৬দিনের প্রশিক্ষণ কর্মশালায় ৪টি বেচে শতাধিক পুরুষ ও মহিলা অংশগ্রহণ করে প্রশিক্ষণ নেন। কিন্তু কর্মশালার অন্তিম দিনে তাঁদের প্রশিক্ষণ সম্পূর্ণ করেনি -“অ্যাসেনসিভ এডুকেয়ার লিমিটেড”এবং তাঁদের খরচ হওয়া অর্থও ফিরিয়ে দেওয়া হয়নি।
এও জানান, বিষয়টি নিয়ে অ্যাসেনসিভ এডুকেয়ার লিমিটেডের নর্থইস্ট ইনচার্জ বাসুরঞ্জন বিশ্বাসকে যোগাযোগ করলে তিনি একের পর এক আশ্বাস দেন। কিন্তু ৩ মাস অতিক্রান্ত হলেও প্রশিক্ষণার্থীরা তাঁদের নায্য প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত রয়েছেন। শেষ পর্যন্ত কোন উপায় না পেয়ে মঙ্গলবার জেলা প্রশাসনকে একটি লিখিত অভিযোগ প্রদান করে তাঁদের সমস্যা নিরসনে সহযোগিতা করার আবেদন জানিয়েছেন তাঁরা। এদিন উমা সাহা,পম্পী পাল, টিঙ্কু সাহা,জ্যোৎস্না বেগম, সাহনাজ বড়ভূইয়া, আমির উদ্দিন ও সিরাজুল হক মজুমদার সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন