পাথারকান্দি আঞ্চলিক পঞ্চায়েত সভানেত্রী রীনা ও সহ-সভাপতি মানিকচন্দ্র মনোনীত

মোহাম্মদ জনি, পাথারকান্দি।
বরাক তরঙ্গ, ১৮ জুলাই : পাথারকান্দি আঞ্চলিক পঞ্চায়েত বোর্ড গঠিত হল। সভানেত্রী রীনা সিনহা ও সহ-সভাপতি মানিকচন্দ্র দেবনাথ মনোনীত হয়েছেন। শুক্রবার পাথারকান্দি ব্লক কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে গঠিত হলো পাথারকান্দি আঞ্চলিক পঞ্চায়েত বোর্ড। সভায় উপস্থিত ১১ জন আঞ্চলিক পঞ্চায়েত সদস্যের মধ্যে ১০ জনই ছিলেন ভারতীয় জনতা পার্টির প্রার্থী এবং মাত্র একজন সদস্য ছিলেন কংগ্রেস দলের। সংখ্যাগরিষ্ঠতা বজায় রেখে সর্বসম্মতভাবে লক্ষ্মীপুর-বিলবাড়ি জিপি’র এপি সদস্যা রীনা সিনহাকে সভানেত্রী (ব্লক প্রেসিডেন্ট) এবং কানাইনগর জিপির এপি সদস্য মানিকচন্দ্র দেবনাথকে সহ-সভাপতি (ভাইস প্রেসিডেন্ট) হিসেবে নির্বাচিত করা হয়।

পাথারকান্দি আঞ্চলিক পঞ্চায়েত সভানেত্রী রীনা ও সহ-সভাপতি মানিকচন্দ্র মনোনীত

সভা শুরু হওয়ার আগে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী উপস্থিত এপি সদস্যদের শপথ পাঠ করানো হয়। পুরো প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হয় প্রশাসনিক তত্ত্বাবধানে। সভায় সরকারি দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে উপস্থিত  ছিলেন রংবমন তেরন, এবং তাঁকে সহায়তা করেন পাথারকান্দি বিডিও অজয় কার্কী ছেত্রী।সভায় উপস্থিত ছিলেন এপি  সদস্যগণ হলেন জয়হরি সালিয়া (ভুবরিঘাট জিপি), মণি তাঁতী (পুতনি জিপি), সঞ্জীব দে (নারাইনপুর জিপি),  সুস্মিতা সিনহা (বাজারঘাট-বেতুবাড়ি জিপি), গোপেশ দাসচৌধুরী (ফাকুয়া জিপি), মানিকচন্দ্র দেবনাথ (কানাইনগর জিপি) হেনা বেগম (কাজিরবাজার-পলডহর জিপি), রত্না সিনহা (ভুরুঙ্গা জিপি), নিতু কানু (কলকলিঘাট জিপি), রীনা সিনহা (লক্ষ্মীপুর-বিলবাড়ি জিপি) ও জবারানী নাগ (বৈঠাখাল জিপি)।

পাথারকান্দি আঞ্চলিক পঞ্চায়েত সভানেত্রী রীনা ও সহ-সভাপতি মানিকচন্দ্র মনোনীত

পরে নবনির্বাচিত সভাপতি ও সহ-সভাপতিকে সভা শেষে পাথারকান্দি ব্লক মণ্ডল বিজেপি-র পক্ষ থেকে সংবর্ধনা জানানো হয়। ছোট পরিসরে অনুষ্ঠিত এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দলীয় নেতা-কর্মীরা এবং ব্লকের অন্যান্য সদস্যরা। নবনির্বাচিত দুই নেতাকে মিছিলসহকারে নিজ নিজ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। বিজয় মিছিলে স্থানীয়দের অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মতো। চা-বাগানের পটভূমিতে এই আয়োজন যেন এক আনন্দঘন উৎসবে পরিণত হয়। এদিকে এই বোর্ড গঠনের মাধ্যমে পাথারকান্দি ব্লকে প্রশাসনিক কাঠামোর একটি নতুন অধ্যায় সূচিত হলো। নবনির্বাচিত নেতৃত্বের প্রতি সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা স্বচ্ছতা, জনবান্ধব কার্যক্রম ও গ্রামীণ উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে।

Spread the News
error: Content is protected !!