অনলাইন ট্রেডিং : একের পর এক কংগ্রেসি নেতাদের নাম জড়াচ্ছে

করিমগঞ্জের শাকির সহ কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা

বরাক তরঙ্গ, ১৪ সেপ্টেম্বর : অনলাইন ট্রেডিং কেলেঙ্কারিতে জড়িতদের ধরপাকড়ের সময় কংগ্রেসের নেতা ও কর্মী জড়িত থাকার মতো বিস্ফোরক তথ্য বেরিয়ে আসছে।  

করিমগঞ্জের বাখরশালে শাকির অ্যান্ড কোম্পানির কাছ থেকে ৪০০ কোটি টাকা লুটপাটের সাম্প্রতিক প্রকাশের পর এটা এখন স্পষ্ট যে কংগ্রেস এই ঘটনায় ইন্ধন জোগাচ্ছিল।

এ দিকে, স্বপ্ননীল দাস যেস্থানে লুণ্ঠন কাজ চালিয়েছিলো সেটা ছিল লাহরিঘাটের প্রাক্তন মন্ত্রী ডাঃ নজরুল ইসলামের ছেলে ডাঃ আসিফ মহম্মদ নাজারের ভাড়া ঘর। এই কংগ্রেস নেতার ভাড়া বাড়িতেই অবৈধ ব্যবসার নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে সক্ষম হন স্বপ্ননীল। একই ভাবে করিমগঞ্জের বাখরশাল এলাকার মোহাম্মদ শাকির প্রদেশ যুব কংগ্রেসের সভাপতি জুবের আনাম মজুমদারের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। এতে বিভিন্ন জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

এই শাকিরই বাখরশালে ‘শাকির ট্রেডিং ক্লাস’ নামে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে মানুষকে প্রশিক্ষণ দেন। এই শাকিরের সঙ্গে যুব কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি জুবের এনাম যিনি গত লোকসভা নির্বাচনে দলের টিকিটে জেতার আশায় বরাকে এসেছিলেন। এছাড়াও শাকির অ্যান্ড কোম্পানির বেশ কয়েকজন যুবক ছিলেন যারা যুব কংগ্রেসের বিভিন্ন পদে নিযুক্ত ছিলেন। শাকির অ্যান্ড কোম্পানির সদস্যরা সম্প্রতি ৪০০ কোটি টাকা লুট করে পালিয়ে গেছে।

অনলাইন ট্রেডিং : একের পর এক কংগ্রেসি নেতাদের নাম জড়াচ্ছে

মুন্না ওরফে মুজ্জাকির আহমেদ নামে আরেক যুবক শাকিরের অন্যতম সহযোগী। প্রদেশ যুব কংগ্রেসের সভাপতি জুবের আনাম মজুমদারের সঙ্গেও তার সুসম্পর্ক রয়েছে। যুব কংগ্রেসের সম্পাদক মহম্মদ আফসাদও এই লুণ্ঠনের সঙ্গে জড়িত এমন অভিযোগ পাওয়া যায়।

অনলাইন ট্রেডিং : একের পর এক কংগ্রেসি নেতাদের নাম জড়াচ্ছে

পুলিশ পলাতকদের বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিশ জারি করেছে। উল্লেখ্য, করিমগঞ্জ পুলিশ ইতিমধ্যে শাকির সহ কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। এ ঘটনায় করিমগঞ্জ সদর থানায় ৫৪৩/২০২৪ নম্বরে মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং তদন্ত চলছে।

Author

Spread the News