এবার নিভিয়া হাসপাতালে জঘন্য কাণ্ড, কিশোরীকে যৌন হয়রানি, গ্রেফতার
বরাক তরঙ্গ, ২৪ জুন : করিমগঞ্জ অসামরিক চিকিৎসালয়ের মর্গে মৃত যুবতীর সঙ্গে সাফাই কর্মীর ধর্ষণের ঘটনার দু’মাস অতিবাহিত হতে না হতেই নিভিয়া প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চতুর্থ শ্রেণীর অস্থায়ী কর্মীর হাতে যৌন হেনস্থার শিকার হল দশম শ্রেণীর এক ছাত্রী।
জানা গেছে, বর্তমানে স্কুলে ছাত্রছাত্রীদের রক্তের গ্রুপ ও শারীরিক উচ্চতা সহ ওজন পরিমাপ করা চলছে। একইভাবে বৃহস্পতিবার স্কুল বন্ধ থাকার সুযোগে নিভিয়ার জনৈক প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী তাঁর তিন ছেলে মেয়ে সহ এক ভাইপোর রক্তের গ্রুপ নির্ণয় করার জন্য নিভিয়া প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যান। হাসপাতালের ল্যাবরেটরিতে একে একে তাদের রক্ত পরীক্ষা করা হয়। সেসময় তিনিও ছেলেমেয়েদের সঙ্গে ল্যাবের ভেতরেই ছিলেন। প্রথমেই নিভিয়া অঞ্চলের সরকারি বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীতে পাঠরত তাঁর বড় মেয়ের রক্তের নমুনা দিয়ে কক্ষের বাইরে বেরিয়ে আসে। তখন হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণীর অস্থায়ী কর্মী সত্তরোর্ধ্ব বৃদ্ধ জনার্দন গোয়ালা ওই মেয়েটির ওজন ও উচ্চতা মাপার জন্য তাকে অন্য একটি কক্ষে নিয়ে যৌন হেনস্থা করেন বলে অভিযোগ।
সেসময় মেয়েটির অসস্তি বোধ করলেও বাবাকে কিছু বলেনি। কিন্তু বিষন্ন মনে বাড়ি ফিরে সে কান্নায় ভেঙে মা, দিদি ও বাড়ির অপর মহিলাদের তার সঙ্গে ঘটা জঘন্য ঘটনার বিষয়ে খুলে বলে। এতে সঙ্গে সঙ্গেই বাড়ির মহিলারা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে গিয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসককে নালিশ জানান এবং পরবর্তীতে নিভিয়া পুলিশ ফাঁড়িতে এফআইআর দাখিল করার পর পুলিশ তদন্তে নেমে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠায়। আদালত তাকে জেল হাজতে পাঠিয়ে দেয়।