গুয়াহাটিতে উত্তর পূৰ্বাঞ্চলীয় যুব অভিবর্তন এআইডিওয়াইও-র

বরাক তরঙ্গ, ১১ ফেব্রুয়ারি : বিভিন্ন দাবিতে উত্তর পূৰ্বাঞ্চলীয় যুব অভিবর্তনের আয়োজন করে এআইডিওয়াইও। সরকারি বিভাগের সমস্ত শূন্য পদে নিয়োগ, সরকারি সংস্থার বিলগ্নিকরণ বন্ধ করা, ঠিকাভিত্তিক নিয়োগ বন্ধ করে স্থায়ী নি‌য়োগের ব্যবস্থা করা, বেকার সমস্যা সমাধানে ক’ল-কারখানা স্থাপন করা, কর্মসংস্থানের অধিকারকে মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান ও বেকাররা কৰ্মসংস্থান না পাওয়া পৰ্যন্ত উপযুক্ত বেকার ভাতা প্ৰদান ইত্যাদি দাবিতে সংগঠনের সৰ্বভারতীয় কমিটির উদ্যোগে গুয়াহাটির লক্ষীরাম বরুয়া সদনে উত্তরপূর্ব ভারতের রাজ্যগুলি সহ পশ্চিমবঙ্গ ও সিকিম এর তিন শতাধিক যুবক-যুবতীর উপস্থিতিতে উত্তর পূৰ্বাঞ্চলীয় যুব অভিবর্তন অনুষ্ঠিত হয়। অভিবর্তনে বরাক উপত্যকার তিন জেলার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের সূচনা হয় গণ সঙ্গীত পরিবেশনের মাধ্যমে।

গুয়াহাটিতে উত্তর পূৰ্বাঞ্চলীয় যুব অভিবর্তন এআইডিওয়াইও-র

এআইডিওয়াইও’র অসম রাজ্য কমিটির সম্পাদক বিরিঞ্চি পেগু অভিবৰ্তন পরিচালনা করার জন্য যথাক্রমে বিজিত কুমার সিংহ, মলয় পাল, সাইফুল ইসলাম ও ভবতোষ দে’র নাম প্রস্তাব করেন। সমবেত সঙ্গীতের পর এসইউসিআই (কমিউনিস্ট) দলের পলিটব্যুরো সদস্য প্ৰখ্যাত জননেতা অসিত ভট্টাচাৰ্য ও মেঘালয়ের শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ওয়ান্ডেল পাসার অভিবর্তনের সফলতা চেয়ে পাঠানো লিখিত ব্যক্তব্য পাঠ করে শুনানো হয়। আলোচনা সভায় উদ্বোধন করেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, ডিব্ৰুগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্ৰাক্তন উপাচাৰ্য  কুলেন্দু পাঠক এবং মুখ্য বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন এসইউসিআই (কমিউনিস্ট ) দলের অসম রাজ্য কমিটির সম্পাদক চন্দ্ৰলেখা দাস।

গুয়াহাটিতে উত্তর পূৰ্বাঞ্চলীয় যুব অভিবর্তন এআইডিওয়াইও-র

আমন্ত্ৰিত বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কাছাড় কলেজের প্ৰাক্তন অধ্যাপক অজয় রায় ও এআইডিওয়াইও’ সৰ্বভারতীয় কমিটির সভাপতি নিরঞ্জন নস্কর সহ সংগঠনের উত্তর পূৰ্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির নেতৃবৃন্দ। বক্তারা বলেন যে বেকার সমস্যা ক্ৰমাগত যে হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে সে অনুপাতে কৰ্মসংস্থানের ব্যবস্থা হচ্ছে না। ভয়াবহ বেকার সমস্যা শুধু মাত্ৰ অৰ্থনৈতিক ক্ষেত্রে বিরূপ প্ৰভাব ফেলেছে তাই নয়, সামাজিক-সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রেও সমস্যার সৃষ্টি করছে। চতুর্থ শ্রেণীর চাকরির জন্য এখন এমএ, পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করা মেধাবী যুবক যুবতীরা আবেদন করতে বাধ্য হচ্ছে।

গুয়াহাটিতে উত্তর পূৰ্বাঞ্চলীয় যুব অভিবর্তন এআইডিওয়াইও-র

স্বাধীনোত্তর ভারতবৰ্ষে ৯০ ভাগ সম্পত্তি মুষ্টিমেয় পুঁজিপতিদের হাতে চলে গিয়েছে। উত্তরপূর্ব ভারতের রাজ্যের যুবসমাজকে জাতিগত বিদ্বেষ, মাদক দ্ৰব্য ইত্যাদির প্ৰভাব থেকে মুক্ত হয়ে উগ্ৰ প্ৰাদেশিকতাবাদ ও সাম্প্ৰদায়িকতাবাদের ঊৰ্দ্ধে উঠে ভ্ৰাতৃত্ববোধের মানসিকতা নিয়ে যুব সমাজের মূল সমস্যা বেকারত্ব নিরসনে বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গী গ্ৰহণ করে যুব আন্দোলনের পাশাপাশি উন্নত নীতি নৈতিকতার ভিত্তিতে যুব আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান।

Author

Spread the News