ধলাইয়েও এনএইচএম কর্মীদের কর্মবিরতি অব্যাহত, পরিষেবা বিপর্যস্ত
রাজীব মজুমদার, ধলাই।
বরাক তরঙ্গ, ৫ মার্চ : সারা আসাম এনএইচএম কর্মচারী সংস্থার ডাকে ধলাইয়েও তিন দিবসীয় কর্মবিরতি অব্যাহত রয়েছে। দ্বিতীয় দিনেও ধলাই খণ্ড প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে কর্মবিরতিতে বসেন সংস্থার কর্মকর্তারা। তাদের তিন দফা দাবি সহ বিভিন্ন ঘাত প্রতিঘাতের কথা তুলে ধরেন তারা। দাবির মধ্যে রয়েছে, এনএইচএম কর্মচারীদের চাকরি স্থায়ীকরন করা, সপ্তম বেতন কমিশনের সুপারিশ অনুসারে সমহারে সম বেতন প্রদান ও স্থায়ী কর্মচারীদের মতো সকল সুবিধা প্রদান করতে হবে।

এনএইচএম এনএইচএম এমপ্লোয়িজ অ্যাসোসিয়েশনের ডাকে কর্মবিরতিতে ধলাই সহ অন্যান্য সাব সেন্টারগুলিতে স্বাস্থ্য পরিষেবা সম্পূর্ণভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
কর্মকর্তারা তাদের বক্তব্যে জানান, ২০০৫ সালে এনএইচএম চালু হওয়ার পর থেকে তারা অস্থায়ী কর্মচারী হিসেবে কাজ করে আসছেন। কিন্তু আজ অবধি তাদের চাকরি স্থায়ীকরন হয়নি। বারবার বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ভাবে সরকারের কাছে দাবি জানালেও তারা নিরাশ হয়েছেন। স্থায়ী কর্মচারীদের মতো সমহারে কাজ করলেও, বেতন সহ অন্যান্য সুবিধা লাভে তারা বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। কোনও ধরনের সরকারি সহায়তা ছাড়াই অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে তারা চাকরি করছেন। অস্থায়ী কর্মচারী হলেও বিভাগের সম্পূর্ণ কাজের চাপ তাদের উপর থাকে। তবে সরকারের সব ধরনের সুযোগ সুবিধা থেকে তারা বঞ্চিত। শীঘ্রই তাদের দাবি পূরন করতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ড. হিমন্ত বিশ্ব শর্মার হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা। তারা আরও উল্লেখ করেন, স্বাস্থ্য বিভাগে কাজ করে দুর্ঘটনাজনিত স্বাস্থ্য বিমা থেকেও তারা বঞ্চিত। এহেন পরিস্থিতিতে কর্তব্য পালন করলেও, সরকারের সেদিকে দৃষ্টি গোচর হয়নি।

কর্মবিরতিতে উপস্থিত ছিলেন সারা আসাম এনএইচএস এনএইচএম এমপ্লোয়িজ অ্যাসোসিয়েশনের ধলাই শাখার সভাপতি বিধান চন্দ্র রায়, সম্পাদক পল্লব নাথ চৌধুরী, সহ সভাপতি অভিজিৎ রায়, সহ সম্পাদক সত্যব্রত কর। সারা আসাম স্বাস্থ্য ও কারিগরি কল্যাণ সংস্থার সহ সভাপতি সন্তোষ রবিদাস, সম্পাদক রুবি রাণী ভট্টাচার্য, সহ সম্পাদক আতাব উদ্দিন আহমেদ, যুগ্ম সম্পাদক ডাঃ সুশান্তি ওইনাম, ডাঃ মইদুল ইসলাম প্রমুখ।