প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে কেভিআইসি-র নয়া রেকর্ড

পিএনসি, নয়াদিল্লি।
১৩ জুলাই : প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে খাদি ও গ্রামীণ শিল্প কমিশন (কেভিআইসি) এবং অতি ক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগ মন্ত্রক ২০২৩-২৪ আর্থিক বছরে উৎপাদন, বিক্রয় এবং নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির ক্ষেত্রে একটি নতুন রেকর্ড স্থাপন করেছে।

প্রথমবার খাদি ও গ্রামীণ শিল্পের লেনদেন ১.৫ লক্ষ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে

শুক্রবার নয়াদিল্লিতে ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের সম্ভাব্য পরিসংখ্যান প্রকাশ করে কেভিআইসি চেয়ারম্যান মনোজ কুমার বলেছেন, এবার বিক্রয় ৩৯৯.৬৯ শতাংশ (প্রায় ৪০০ শতাংশ), উৎপাদনে ৩১৪.৭৯ শতাংশ (প্রায় ৩১৫ শতাংশ) এবং নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির ক্ষেত্রে ৮০.৯৬ শতাংশ (প্রায় ৮১ শতাংশ) বৃদ্ধি পেয়েছে, যা ২০১৩-১৪ আর্থিক বছরের তুলনায় আগের সমস্ত পরিসংখ্যানকে ছাড়িয়ে গেছে।
                          
২০১৩-১৪ অর্থবর্ষের তুলনায় ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে বিক্রয় বেড়েছে ৩৩২.১৪ শতাংশ, উৎপাদনে ২৬৭.৫২ শতাংশ এবং নতুন কর্মসংস্থান বেড়েছে ৬৯.৭৫ শতাংশ।

কুমার বলেন, কেভিআইসির এই অসাধারণ পারফরম্যান্স ২০৪৭ সালের মধ্যে ‘বেটার ইন্ডিয়া’র স্বপ্ন বাস্তবায়নের পাশাপাশি ভারতকে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। স্বাধীন ভারতের ইতিহাসে এই প্রথম খাদি ও গ্রামীণ শিল্প কমিশনের পণ্য বিক্রি ৫০ লক্ষ টাকা ছাড়িয়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে ১.৫৫ লক্ষ কোটি টাকা। ২০২২-২৩ আর্থিক বছরের বিক্রয় পরিসংখ্যান দাঁড়িয়েছে ১.৩৪ লক্ষ কোটি টাকা।

মোদি সরকারের শেষ দশ আর্থিক বছরে গ্রামীণ এলাকায় তাঁতিদের তৈরি দেশজ খাদি ও গ্রামীণ শিল্পজাত পণ্যের বিক্রি ২০১৩-১৪ আর্থিক বছরে দাঁড়িয়েছে ৩১১৫৪.২০ কোটি টাকা। ২০২৩-২৪ আর্থিক বছরে কেৎি-এর প্রচেষ্টা গ্রামীণ অঞ্চলে ১০.১৭  লক্ষ নতুন কর্মসংস্থান তৈরি করেছে, যা ভারতের গ্রামীণ অর্থনীতিকে শক্তিশালী করেছে।

নয়াদিল্লিতে খাদি ও গ্রামীণ শিল্প গড়ে তোলার ব্যবসাও গত দশ বছরে অভূতপূর্ব বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যদিকে এখানে ব্যবসা ছিল ৫০ লাখ টাকা। ২০১৩-১৪ অর্থবর্ষে তা ৮৭.২৩ শতাংশ বেড়ে ৫১.১৩ কোটি টাকা হয়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে ৯৫.৭৪ কোটি টাকা। খাদি ভিলেজ ইন্ডাস্ট্রিজ ভবন, নয়াদিল্লি ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে ৮৩.১৩ কোটি টাকার টার্নওভার ছিল।

Author

Spread the News