পাথারকান্দিতে নবরথ যাত্রা, বিশাল সমাগম
মোহাম্মদ জনি, পাথারকান্দি।
বরাক তরঙ্গ, ৪ জুলাই : ‘জগবন্ধু কৃপা করো আমারে,হেরি তোমায় চান্দ মুখ পাপ যাইও না ‘…ঠিক এই আকুতি নিয়ে প্রতিবছরের ন্যায় এবারও হাজার হাজার ভক্তের সমাগমে পাথারকান্দি মডেল উচ্চতর মাধ্যমিক খেলার মাঠে সম্পন্ন হল নবরথ যাত্রা। শতবর্ষ পূর্ণ উপলক্ষ্যে এবছরের আয়োজন ছিল একটু ব্যতিক্রমী। এ বছর মোট ১১ খানা রথ বিদ্যালয়-র খেলা র মাঠে টেনে আনা হয়।

ভুবনেশ্বর মিশন অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল কালচারেল সেন্টারের একটি রথ, ওএনজিসি রোড-র একটি রথ, রাজারগাঁও গ্রামের শ্রী শ্রী গোবিন্দ জীউ, শ্রী শ্রী মহাপ্রভু, শ্রী শ্রী গোপালজীউ, শ্রী শ্রী মদনগোপালজীউ-১ ও শ্রী শ্রী মদন গোপাল-২, শ্রী শ্রী গৌরগোপালজীউ, শ্রী শ্রী মদনমোহনজীউ মন্দির থেকে সাতটি রথ এবং বাগাডহর গ্রামের দু’টি মন্দির থেকে দু’টি রথ ভক্তরা টেনে নিয়ে আসেন মাঠে। দিনের রথযাত্রা আরম্ভ হওয়ার পূর্বে এক বিরাট আলোচনা সভা আয়োজন করা হয়।

এতে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু পাল, শ্রীভূমি জেলার রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ চালক নর্মদা চক্রবর্তী, শ্রীভূমি জেলা বিভাগ প্রচারক অভিষেক শীল, বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরি ডেভোলাপমেন্ট কাউন্সিলের চেয়ারপার্সন রিতা সিনহা সহ স্থানীয় জন প্রতিনিধিরা। সংঘ চালক নর্মদা চক্রবর্তী সনাতন ঐক্য এবং সঙ্ঘবদ্ধতার উপর বিশদ আলোচনা করেন। মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু পাল রথ উদযাপন কমিটিকে ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানান।

এছাড়া জগন্নাথ প্রভুর আশীর্বাদ সকল ভক্তদের উপর বর্ষিত হোক এই কামনা করে বলেন এই রথ যাত্রায় হাজার হাজার মানুষের সমাগম যেভাবে হয়েছে ঠিক সেইভাবে ভবিষ্যতেও সঙ্ঘবদ্ধভাবে থাকতে হবে যাতে কোন অপশক্তি আমাদেরকে ছুঁতে না পারে বলে মন্তব্য করেন। পরে শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। প্রথমেই নৃত্যের মাধ্যমে দশ অবতারের একটি রূপ প্রদর্শন করার পর হরিনগরের মহিলা নৃত্য শিল্পীরা তুলে ধরেন দশবতারের আরেকটি রূপ। তাছাড়া শিল্পী শ্যাম সিনহার গানের সঙ্গে নৃত্যের তাল মেলান হাজারো ভক্তবৃন্দ। পরিশেষে রথ কমিটির সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে মাধ্যমে রথযাত্রা সমাপন হয়।