‘বিরক্ত-হতাশ হয়ে গিয়েছিলাম…’ সুইসাইড নোট মুক্তিরাজনের
২৭ সেপ্টেম্বর : ‘বিরক্ত-হতাশ হয়ে গিয়েছিলাম…।’ সুইসাইড নোটে লিখে গিয়েছেন বেঙ্গালুরুর হাড়কাঁপানো খুনের আত্মঘাতী নায়ক মুক্তিরাজন রায়। পুলিশি তদন্তে ওড়িশায় তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের পর মুক্তির লেখা একটি সুইসাইড নোট মিলেছে।
তাতেই খুনের কথা কবুল করা ছাড়াও রক্ত ঠাণ্ডা হয়ে যাবে এমন সব ঘটনা লিখে গিয়েছেন তিনি। তাঁর স্বীকারোক্তিতেই পুলিশ অবশেষে জানতে পেরেছে, বেঙ্গালুরুতে একা থাকা কর্মরতা ২৬ বছরের মহালক্ষ্মীকে খুন করে মোট ৫৯ টুকরো করেছিলেন মুক্তিরাজন। তারপর সেই দেহাংশগুলি ফ্রিজে পুরে রেখেছিলেন। এই বিভৎস আক্রোশের কারণ, মহালক্ষ্মীর আচার-ব্যবহারে বিরক্ত ও হতাশ হয়ে পড়েছিলেন তাঁর সহকর্মী মুক্তি।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই সুইসাইড নোট মুক্তি তাঁর একটি ডায়েরিতে লিখে রেখে গিয়েছেন। সেখানে লেখা রয়েছে, আমি আমার প্রেমিকা মহালক্ষ্মীকে খুন করি ৩ সেপ্টেম্বর। সেদিনই মহালক্ষ্মীর বাড়িতে গিয়েছিলেন তিনি। মুক্তির লেখায় রয়েছে, আমি ওর ব্যবহারে ভেঙে পড়েছিলাম। আমার সঙ্গে ওর ঝগড়াও হয়। মহালক্ষ্মী আমায় মারধর করে, অপমান করে। ওর এরকম আচরণে ভয়ানক রেগে গিয়ে আমি ওকে খুন করি।
ডায়েরিতে আরও বর্ণনা দিয়ে আত্মঘাতী-খুনি বয়ানে লিখেছেন, ওকে মেরে ফেলে আমি ওর দেহটাকে ৫৯ টুকরো করি। তারপর সেই টুকরোগুলো ফ্রিজে ঢুকিয়ে দিই। ওর উপর প্রচণ্ড হতাশ হয়েই আমি এইসব করেছি।
পুলিশ মুক্তিরাজনের দেহ উদ্ধারের পর তার বাড়ি গিয়ে এই ডায়েরি পায়। উল্লেখ্য, বুধবার ওড়িশার ভদ্রক জেলায় একটি গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় মুক্তির দেহ উদ্ধার হয়। তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে অনুমান। পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, সন্দেহভাজন খুনি বুধবার পান্ডি গ্রামে আসেন। সেখানে এসে একটি হোটেলে ওঠেন। স্থানীয়রাই তাঁর ঝুলন্ত দেহ প্রথমে দেখতে পান।
পুলিশ জানিয়েছে, রোমহর্ষক এই খুনের পর থেকে মুক্তির খোঁজ করছিল বেঙ্গালুরু পুলিশ। কারণ গত ১ সেপ্টেম্বর তিনি শেষবার অফিসে এসেছিলেন। নিহত মহালক্ষ্মীও শেষ অফিস করেন ওইদিনই। পুলিশের চারটি দলে ওড়িশায় এসে মুক্তির খোঁজ চালাচ্ছিল।