বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মীর দুর্ব্যবহার, উত্তাল লায়াইরপোয়া এপিডিসিএল কার্যালয়

বরাক তরঙ্গ, ১৫ জুলাই : বিদ্যুৎ যন্ত্রনার অভিযোগ জানাতে গিয়ে লোয়াইরপোয়া বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মীর দুরব্যবহারের শিকার হলেন প্রায় শতাধিক নিয়মিত বিদ্যুৎ গ্রাহক সহ কচিকাঁচা পড়ুয়া। পরে এমন কাণ্ডে উত্তাল প্রতিবাদ করেন বিদ্যুৎ গ্রাহকরা লোয়াইরপোয়া এপিডিসিএল কার্যালয় সামনে। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার সকালে এগারোটা নাগাদ। অভিযোগ মতে বিদ্যুতের লো ভোল্টেজ সংক্রান্ত অভিযোগ জানাতে এবং সমস্যা সমাধানের দাবি নিয়ে লোয়াইরপোয়া এপিডিসিএল কার্যালয়ে উপস্থিত হলে জনৈক বিদ্যুৎ কর্মীর দুর্ব্যবহার স্বীকার হন বলে অভিযোগ জানান লোয়াইরপোয়া ব্লকের ঝেরঝেরি জিপির নাগ্রা এলাকার পশ্চিম হাতাইয়ারবন্দ গ্রামের একাংশ বিদ্যুৎ গ্রাহকেরা। পরে তাঁরা সাংবাদিকের মুখোমুখি হয়ে তাঁদের দুর্দশার কথা বর্ণনা করেছেন। এ মর্মে সামিম আহমেদ, আবুল খয়ের বলেন বিগত চার পাঁচ বছর ধরে নিজ গ্রামে বিদ্যুৎ সংযোগ থাকলেও পর্যাপ্ত পরিমাণে ভোল্টেজ পাওয়া যাচ্ছে না।রাতদিন একই অবস্থা, বর্তমানে প্রচন্ড গরমের সময় ফ্যান চালাতে চাইলেও  ফ্যানের পাখা যেন হাত পাখা থেকেও অতি কম গতিতে ঘুরছে। তাছাড়া রাতে বাল্বগুলো জ্বালালে লো ভোল্টেজের জন্য আলো কম হয় বা কখনও আবার জ্বালানো সম্ভব হয় না। এতে পড়ুয়াদের পড়াশোনাতে বাধার সৃষ্টি হচ্ছে। অন্যদিকে তপ্ত গরমে রাতে ফ্যান ছাড়া শুতে পারছেন না লোকজন। আর এই সমস্যা বিগত কয়েক বছর ধরে চলে আসছে। এ বিষয়ে অনেকবার বিদ্যুৎ কর্মীদের অভিযোগ জানালে অচিরে সমস্যার সমাধান করা হবে বলে আশ্বাস দিলেও আজও অবস্থার পরিবর্তন হয়নি।

বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মীর দুর্ব্যবহার, উত্তাল লায়াইরপোয়া এপিডিসিএল কার্যালয়

এদিন বাধ্য হয়ে গ্রামের লোকজন সহ কচিকাঁচা পড়ুয়ারা এপিডিসিএল কার্যালয়ে উপস্থিত হন। কিন্তু সেখানে বিভাগীয় কোন আধিকারিকদের সাথে দেখা করতে পারেননি অফিস বন্ধ থাকার জন্য।তবে ভুক্তভোগীরা জানান তাঁরা অফিসে আসার পর কার্যালয় খোলা ছিল তখন তারা জনৈক এক কর্মীর সঙ্গেে দখা করলে তিনি নাকি তাঁদের উচ্চস্বরে কার্যালয় থেকে বের হতে বলেন। এবং পরে কার্যালয় বন্ধ করে চলে যান। এতে অত্যন্ত মর্মাহত হন গ্রাহকেরা। তাঁরা বলেন, নিয়মিত বিদ্যুৎ মাশুল পরিশোধ করছি এ ছাড়াও যদি কারো বকেয়া বিল থেকে যায় আমাদের জানিয়ে দিক বিভাগ আমরা শীঘ্রই তা চুকিয়ে দেব। তবে নিজেদের ন্যায্য অসুবিধা জানাতে গিয়েও এমন অপব্যবহারের সম্মুখীন হলে তা কি করে মেনে নেব বলেন।

এদিকে এদিন অসম-ত্রিপুরা সীমান্তের বালিপিপলা জিপির প্রত্যন্ত গ্রান বালিয়াপুঞ্জির এক বয়স্ক ভদ্রলোক রিল মান লাল জানান তার নিজ ঘরে দুটি বাল্প জ্বালান অতছ মাসে ছয়শত টাকা বিল আসছে। তাছাড়া উপস্থিত অন্যরাও বর্ধিত হারে বিল লাভের কথা জানান। আর এ মর্মে বিদ্যুৎ কর্মীদের অবগত করলে তারা মিটার বিকল হওয়ার হওয়া এমন হচ্ছে তাই নতুন মিটার লাগাতে হবে বলে তার কাছ থেকে অরো অতিরিক্ত পাঁচশত টাকা নেন। আর নতুন মিটার লাগানোর পর এক দু মাস বিল ঠিক থাকলে ফের সেই বর্ধিত হারে বিল আসছে বলে অভিযোগ করেন। এদিন সমুহ অভিযোগ জানাতে এলাকার লোকজন সহ ßুñল পড়ুয়ারা কচিকাঁচারা এপিডিসিএল কার্যালয়ে উপস্থিত হলে অপমানিত বুধকরে করে ফিরে যেতে হল।

পরে তারা এ বিষয়ে স্থানীয় বিধায়ক কৃষ্ণেন্দু পাল সহ জেলা শাসক মৃদুল যাদবের হস্তক্ষেপ কামনা করে বলে সৃষ্ট বিদ্যুৎ সমস্যার স্থানীয় সমাদানের জন্য গ্রামে একটি নতুন উচ্ছক্ষমতা সম্পুর্ণ ট্রান্সফমার বরাদ্দ করে দেওয়া দাবি জানান। এদিকে এ নিয়ে বিভাগীয় জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ারের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান এদিন অফিস ছুটি ছিল। তাই তাঁদের সোমবার আসার কথা বলেন।
প্রতিবেদক : মোহাম্মদ জনি, করিমগঞ্জ।

Author

Spread the News