হাতিখিরাতে অমৃত সরোবর প্রকল্প পরিদর্শন মন্ত্রী রণজিতের
মোহাম্মদ জনি, করিমগঞ্জ।
বরাক তরঙ্গ, ২০ আগস্ট : পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী রণজিত দাস মঙ্গলবার করিমগঞ্জে পৌঁছান। এদিন তিনি প্রথমে রামকৃষ্ণনগর যান। দুপুরে করিমগঞ্জ জেলার পাথারকান্দি বিধানসভার লোয়াইরপোয়ায় পৌছেন। সেখানে পৌঁছে মন্ত্রী প্রথমে হাতিখিরাতে অমৃত সরোবর প্রকল্প পরিদর্শন করেন। পরে লোয়াইরপোয়া ব্লক মণ্ডল সভাপতি হৃষিকেশ নন্দীর বাজারিছড়ার বাসভবনে গিয়ে মধ্যাহ্ন ভোজন সেরে সোজা লোয়াইরপোয়া উন্নয়ন খণ্ডের কার্যালয় সভায় যোগ দেন। পরে লোয়াইরপোয়া মণ্ডল বিজেপির কার্যালয়ের অনুষ্ঠিত সভায় দলীয় কর্মীদের সঙ্গে মিলিত হয়ে মত বিনিময় করেন।
এদিন মন্ত্রীকে ব্যাপক অভ্যর্থনা জানা দলীয় নেতা কর্মীরা। পরে মন্ত্রী দাস লোওয়াইরপোয়া উন্নয়ন খণ্ডে পৌঁছে প্রথমে অসম স্টেট রুরাল লাইভলিহুড মিশনের ব্লক মিশন ম্যানেজমেন্ট ইউনিট কর্তৃক একাধিক স্টল পরিদর্শন করার পাশাপাশি বিভিন্ন এসএইচজি গ্রুপের মহিলাদের সঙ্গে বার্তালাপ করেন। পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মন্ত্রী বলেন, চারদিন ধরে বরাক ভ্রমণ রয়েছে তিন মঙ্গলবার লোয়াইরপোয়া ব্লকে এসে পৌঁছান। সেখানে ব্লকের বিভিন্ন প্রকল্প খতিয়ে দেখেন।এবং রিভিউ মিটিং করেছেন। তার কথা লোয়াইরপোয়া ব্লক তথা পাথারকান্দি বিধানসভার আসনের অবস্থা অত্যন্ত ভালো বলেন। একই সঙ্গে তিনি স্থানীয় বিধায়ক কৃষ্ণেন্দু পালের প্রশংসা করে বলেন, বিধায়কের নেতৃত্বে সার্বিক উন্নয়নের বন্যা বইছে গোটা পাথারকান্দি বিধানসভায় এলাকায়। লোয়াইপোয়া উন্নয়ন খণ্ডে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ৯৩ শতাংশ কাজ সম্পূৰ্ণ হয়েছে। বাকি সাত শতাংশ কাজ চলছে। এবং আগামীদিনে প্রধানমন্ত্রী প্রয়াস করছেন নতুন করে আরও সাত লক্ষ আবাস যোজনা দেওয়ার। তার সম্ভাবনা রয়েছে। একই সঙ্গে অমৃত সরোবরেরও কাজ চলছে। একই ভাবে উন্নয়নমূলক কাজ হচ্ছে রামকৃষ্ণনগরেও।
মন্ত্রী বলেন, গোটা করিমগঞ্জ জেলায় আগের থেকে অনেক পার্থক্য গড়ে উঠেছে। করিমগঞ্জ তথা বরাক উপত্যকা প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীর সুযোগ্য নেতৃত্বে আরও উন্নত হয়, তার প্রচেষ্টা চলছে। এবং সঙ্গে দুই বিধায়ক কৃষ্ণেন্দু পাল ও বিজয় মালাকারের কর্ম তৎপরতার কথা উল্লেখ করে তাঁদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন মন্ত্রী। পাশাপাশি জেলাবাসীকে এদিন সহায়তা করার জন্য কৃতজ্ঞতা জানান তিনি। যেহেতু মুখ্যমন্ত্রী করিমগঞ্জে আসবেন তখন তাঁর পক্ষ থেকে আরও ভালো খবর পাওয়া যাবে বলেন মন্ত্রী। রাস্তাঘাট সহ অসামমালা প্রভৃতি নিয়ে। বর্তমানে উন্নয়নের গঙ্গা বইছে করিমগঞ্জে দু’বছর পর তার বাস্তবরূপ পরিলক্ষিত হবে। এদিন গ্রামোন্নয়নের অস্থায়ী কর্মচারীদের নিয়ে সাংবাদিকের করা প্রশ্নে আশারবাণী শোনান মন্ত্রী। তিনি বলেন, আগে তাঁদের কিছুই ছিল না। বর্তমান বিজেপি সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে প্রফিডেন্ট ফান্ড সহ চিলড্রেন কেয়ার বেনিফিট সহ রেশন কার্ডের সুবিধা প্রদান করেছে। এবং আগামীদিনে তাঁদের চাকরি যাতে ক্রমান্বয়ে ষাট বছর হয় তার জন্য সক্রিয় ভাবে সরকার বিবেচনা করছে বলে জানান।
এদিন ব্লক কার্যালয়ের সভায় স্বাগতিক বক্তব্য পেশ করেন বিডিও যুগান্তর কোঁওর। পরে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন স্থানীয় বিধায়ক কৃষ্ণেন্দু পাল। সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রাতাবাড়ির বিধায়ক বিজয় মালাকার, করিমগঞ্জ জেলা পরিষদের সিও লক্ষ্মীনন্দন সাহারিয়া, করিমগঞ্জ জেলা বিজেপির সভাপতি সুব্রত ভট্টাচার্য, দলীয় পদাধিকারীদের মধ্যে হৃষিকেশ নন্দী, শান্তিলাল সিনহা, অমিতাভ দে, সঞ্জীব দেবনাথ প্রমুখ।