ঘুংগুরের দুগ্ধ প্রক্রিয়াকরণ প্রকল্পের পুনরুজ্জীবন ও পরিকাঠামোগত উন্নয়নের রূপরেখা মন্ত্রী পালের
কাছাড়ে উন্নয়নমূলক পর্যালোচনা সভা_____
জনসংযোগ, শিলচর।
বরাক তরঙ্গ, ২০ জুন : পশুপালন ও পশুচিকিৎসা, মৎস্য এবং লোক নির্মান বিভাগের মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু পাল শুক্রবার কাছাড় জেলা প্রশাসন ভবনে এক বিস্তৃত পর্যালোচনা সভার সভাপতিত্ব করেন। সভায় পশুপালন ও পশুচিকিৎসা (দুগ্ধ সহ), মৎস্য এবং সড়ক নির্মাণ দপ্তরের গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়নমূলক এবং জনকল্যাণমূলক বিষয়ে আলোচনা হয়।
এই পর্যালোচনায় মুখ্যমন্ত্রী আত্মনির্ভর অসম অভিযান (CMAAA)-এর বাস্তবায়ন, হারাং সেতুর ধ্বংসপ্রাপ্ত অংশের দ্রুত পুনঃনির্মাণ এবং ঘুংগুরের পুরনো দুগ্ধ প্রক্রিয়াকরণ কারখানার পুনর্জাগরণ ও সম্প্রসারণ সংক্রান্ত বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। সভায় মন্ত্রী কৌশিক রায়, শিলচরের বিধায়ক দিপায়ন চক্রবর্তী, উধারবন্দের বিধায়ক মিহিরকান্তি সোম, ধলাইর বিধায়ক, নিহাররঞ্জন দাস, কাছাড়ের জেলা আয়ুক্ত মৃদুল যাদব, সহ বিভিন্ন দপ্তরের উর্ধ্বতন আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন।

পর্যালোচনা সভা শেষে মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু পাল ঘুঙূরে দুগ্ধ উন্নয়ন বিভাগের পুরাতন মিল্ক প্রসেসিং প্ল্যান্ট পরিদর্শন করেন, যা খুব শীঘ্রই নতুন প্রাণ পেতে চলেছে মুখ্যমন্ত্রী ডঃ হিমন্ত বিশ্ব শর্মার নেতৃত্বে। একসময় এই প্ল্যান্টে প্রতিদিন ৫,০০০ লিটার দুধ প্রক্রিয়াকরণ হতো, যা বর্তমানে মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নর্থ ইস্ট ডেইরি অ্যান্ড ফুড লিমিটেড (NEDFL)-এর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্পে NEDFL এবং WAMUL (যার ব্র্যান্ড নাম ‘পুরবী’) যৌথভাবে কাজ করে প্ল্যান্টটির ক্ষমতা বৃদ্ধি করে ২০,০০০ লিটার দৈনিক করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।

পাশাপাশি, আসন্ন সময়ে পশুপালন দপ্তরের তত্ত্বাবধানে বরাক উপত্যকায় ১ লক্ষ লিটার দৈনিক ক্ষমতাসম্পন্ন একটি বৃহৎ মিল্ক প্রসেসিং ইউনিট স্থাপনের পরিকল্পনাও গৃহীত হয়েছে। এই উদ্যোগ কেবল স্থানীয় দুগ্ধ উৎপাদন বৃদ্ধিই করবে না, বরং দুধ চাষিদের আয় বৃদ্ধি, যুবসমাজের কর্মসংস্থান এবং জনগণের জন্য গুণগতমানসম্পন্ন দুগ্ধজাত পণ্যের সহজ প্রাপ্তিও নিশ্চিত করবে।
এই ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তের জন্য মুখ্যমন্ত্রী ড. হিমন্ত বিশ্ব শর্মাকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানান মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু পাল। তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর সুদূরপ্রসারী দৃষ্টিভঙ্গিই আজ বরাকের অর্থনৈতিক উন্নয়নের ভিত্তি রচনা করছে।

পরিদর্শনকালে মন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন NEDFL-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এসবি বোস, WAMUL-এর প্রতিনিধি এসকে পরিদা, পশুপালন ও পশুচিকিৎসা বিভাগের অধিকর্তা অনিলচন্দ্র ডেওরি, শিলচরের বিধায়ক দীপায়ন চক্রবর্তী, ধলাইর বিধায়ক নীহাররঞ্জন দাস, দুগ্ধ উন্নয়ন অধিদপ্তরের ডিডিও অজিত শর্মা, কাছাড়ের ডিভিওসহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।
মন্ত্রী পাল জানান, পুরবী হল WAMUL-এর একটি সুপরিচিত দুগ্ধজাত পণ্যের ব্র্যান্ড, যা উত্তর-পূর্ব ভারতের অন্যতম বৃহৎ এবং সক্রিয় দুগ্ধ সংস্থা। বরাক উপত্যকায় এই সংস্থার কার্যক্রম শুরু হলে সাধারণ মানুষ সহজলভ্য মূল্যে উন্নতমানের দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্য পাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।