সম্মেলন শেষে বাড়ি ফেরা পথে শ্রীভূমির পঞ্চায়েত প্রতিনিধিদের খোঁজ নিতে রেলস্টেশনে মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু
মোহাম্মদ জনি, শ্রীভূমি।
বরাক তরঙ্গ, ২৯ আগস্ট : মানবিক উদ্যোগে প্রশংসিত মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু পাল। রাজনীতি মানে শুধু মঞ্চের বক্তব্য নয়, মানুষের পাশে থেকে তাঁদের খোঁজখবর নেওয়াই একজন নেতার আসল পরিচয় সেটিই আবারও প্রমাণ করলেন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু পাল। যখন পঞ্চায়েত প্রতিনিধি সম্মেলন শেষে ব্যস্ত সময়সূচির মাঝেই তিনি গুয়াহাটি নারেঙ্গি রেলওয়ে স্টেশনে ছুটে গিয়ে শ্রীভূমি ও হাইলাকান্দি জেলার পঞ্চায়েত প্রতিনিধিদের খোঁজ নেন। শুক্রবার মীন, পশু পালন, ভেটেরিনারি ও পূর্ত বিভাগের মন্ত্রী বিধায়ক কৃষ্ণেন্দু পাল আবারও নজির স্থাপন করলেন। তিনি প্রমাণ করলেন, রাজনীতি মানেই কেবল ক্ষমতা বা দায়িত্ব পালন নয়, বরং মানুষের পাশে থেকে তাঁদের খোঁজখবর নেওয়া, সমস্যার সমাধানে এগিয়ে আসা এবং মানবিকতার পরিচয় দেওয়াই একজন প্রকৃত নেতার কর্তব্য।

এ দিন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উপস্থিতিতে গুয়াহাটির খানাপাড়া ময়দানে অনুষ্ঠিত হয় বৃহৎ পঞ্চায়েত প্রতিনিধি সম্মেলন। রাজ্যের নানা প্রান্ত থেকে হাজারো প্রতিনিধি এই সম্মেলনে যোগ দেন। ব্যস্ততম সময়সূচি সত্ত্বেও সম্মেলন শেষে কৃষ্ণেন্দু পাল সরাসরি ছুটে যান গুয়াহাটি রেলওয়ে স্টেশনে। সেখানে উপস্থিত হয়ে তিনি নিজে পাথারকান্দি কেন্দ্র থেকে আসা প্রতিনিধিদের খোঁজখবর নেন। দীর্ঘ যাত্রার পর তাঁদের যাতায়াত, নিরাপত্তা, থাকা-খাওয়া এবং প্রয়োজনীয় সুবিধাসমূহ ব্যক্তিগতভাবে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে পর্যবেক্ষণ করেন। শুধু তাই নয়, উষ্ণ অভ্যর্থনার মাধ্যমে তিনি তাঁদের বিদায় জানান।

এই সময় মন্ত্রী পালের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন শ্রীভূমি জেলা বিজেপি সভাপতি সঞ্জিব বানিক এবং প্রাক্তন জেলা সভাপতি সুব্রত ভট্টাচার্য। তাঁদের উপস্থিতিতে স্টেশনের পরিবেশ হয়ে ওঠে প্রাণবন্ত ও সৌহার্দ্যময়। প্রতিনিধিরা জানান, একজন মন্ত্রী এত ব্যস্ততার মাঝেও ব্যক্তিগতভাবে তাঁদের খোঁজ নিতে, পাশে দাঁড়াতে এবং বিদায় জানাতে সরাসরি স্টেশনে আসবেন এটা তাঁরা কোনওদিন ভাবেননি। মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু পালের এই উদার ও মানবিক উদ্যোগে সবাই অভিভূত হন এবং আন্তরিক কণ্ঠে প্রশংসা করেন তাঁর জনবান্ধব নেতৃত্বকে।