ধলাইয়ে জোর করে প্রিপেড স্মার্ট মিটার প্রতিস্থাপনে কার্যনির্বাহী প্রকৌশলীর সঙ্গে সাক্ষাৎ

বরাক তরঙ্গ, ১৯ আগস্ট : জোর করে পুলিশ প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে বিতর্কিত প্রিপেড স্মার্ট মিটার গ্রাহকদের ঘরে প্রতিস্থাপনকে কেন্দ্র করে ধলাই বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত আরাধনপুর, সপ্তগ্রাম ইত্যাদি স্থানে যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে এর পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার অল আসাম ইলেকট্রিসিটি কনজুমার্স অ্যাসোসিয়েশন এর কাছাড় জেলা কো-অর্ডিনেশন কমিটি ও ইয়াসি’র এক যৌথ প্রতিনিধি দল এপিডিসিএল এর বরাক উপত্যকা বিভাগের মুখ্য কার্যনির্বাহী প্রকৌশলীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে। কনজুমার্স অ্যাসোসিয়েশন এর কাছাড় জেলা কো-অর্ডিনেশন কমিটির অন্যতম সাধারণ সম্পাদক সঞ্চীব রায়, সংগঠনের রাজ্য কমিটির অন্যতম আহ্বায়ক হিল্লোল ভট্টাচার্য, ইয়াসি’র সহ-সভাপতি অনুপকুমার রায় সহ বিভাস দাস, পিন্টু রায়, সুব্রত সিকদার প্রমুখ মুখ্য কার্যনির্বাহী অভিযন্তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বলেন, জোর করে গ্রাহকদের ঘরে প্রিপেইড স্মার্ট মিটার প্রতিস্থাপন না করার আশ্বাস কনজুমার্স অ্যাসোসিয়েশন পক্ষ থেকে পাঁচ লক্ষ স্বাক্ষর সম্মলিত স্মারকপত্র প্রদানকালে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে আসাম সরকারের তদানীন্তন বিদ্যুৎ মন্ত্রী এপিডিসিএল এর আধিকারিকদের সামনে রেখে দিয়েছিলেন। কেন্দ্রীয় শক্তি মন্ত্রী রাজ্যসভার সদস্য সুস্মিতা দেবের এক প্রশ্নের জবাবে একই কথা গত কয়েক মাস আগে বলেছিলেন এবং আসাম ইলেকট্রিসিটি রেগুলেটরি কমিশন স্মার্ট মিটার প্রতিস্থাপনের পূর্বে গ্রাহকদের এব্যাপারে বিষদ জানানোর নির্দেশনাও জারি করেছিল ফলে জোর করে প্রতিস্থাপনের যেহেতু উল্লেখ কোথাও নেই তাহলে হঠাৎই এপিডিসিএল এর কাবুগঞ্জ ডিভিশনের পক্ষ থেকে এই ধরনের উত্তেজনা সৃষ্টিকারী কাজ করা হচ্ছে কার স্বার্থে?

তাঁরা বলেন বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের মুল চালিকাশক্তি হচ্ছে সাধারণ বিদ্যুৎ গ্রাহক। যখনই সরকার বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থাকে ব্যক্তিগত খণ্ডে তুলে দেওয়ার অপচেষ্টা করেছিল এর বিরুদ্ধে বিদ্যুৎ বিভাগের শ্রমিক, কর্মচারী, ইঞ্জিনিয়াদের যৌথ মঞ্চের পাশে দাঁড়িয়ে লড়াই করেছে ইলেকট্রিসিটি কনজুমার্স অ্যাসোসিয়েশন। ফলে গ্রাহকদের উপর জোর জুলুম করা কোন ভাবেই কাম্য নয়। বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থাকে বেসরকারিকরণ করার লক্ষ্যেই যে প্রিপেইড স্মার্ট মিটার প্রতিস্থাপন করা হচ্ছে তা তো আর বলার অপেক্ষা রাখে না। আজ দেশের বহু রাজ্যের সরকার গ্রাহকদের আন্দোলনের চাপে প্রিপেইড স্মার্ট মিটার প্রতিস্থাপন বন্ধ করে দিয়েছে। কেন্দ্রীয় শক্তি মন্ত্রীর সঙ্গে বিভিন্ন রাজ্যের বিদ্যুৎ মন্ত্রীদের সঙ্গে সাম্প্রতিক এক সভায় ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান ও সরকারি কার্যালয়ে প্রিপেড স্মার্ট মিটার বসানোর উপর গুরুত্ব আরোপ করা হয় কিন্তু সাধারণ বিদ্যুৎ গ্রাহকদের ঘরে প্রতিস্থাপনের বিষয়ে কোন আলোচনাই হয়নি। ফলে এ থেকেও স্পষ্ট যে জোর করে সাধারণ বিদ্যুৎ গ্রাহকদের ঘরে প্রিপেড স্মার্ট মিটার প্রতিস্থাপনের বিষয়ে সরকারের কোন নির্দেশনা নেই। তাহলে কোন যুক্তিতে কাছাড় জেলার শুধু একটি অঞ্চলে এধরনের অমানবিক ও বেআইনি কাজ করছেন এপিডিসিএল এর সংশ্লিষ্ট এসডিই তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়।

প্রতিনিধিরা এপিডিসিএল এর মুখ্য কার্যনির্বাহী অভিযন্তার কাছে অবিলম্বে এধরনের কাজ বন্ধ করার জোরালো দাবি জানান। অন্যথায় বিদ্যুৎ গ্রাহকদের উপর জুলুমবাজী করার বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলতে বাধ্য হবেন বলে তারা জানান।

Spread the News
error: Content is protected !!