সশস্ত্র বাহিনীর ধর্ষণের হাত থেকে বাঁচতে গণহারে আত্মহত্যা নারীদের সুদানে
১ নভেম্বর : প্রায় দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে গৃহযুদ্ধের বলি সুদান। আফ্রিকার এই দেশটিতে সেনার দুটি গোষ্ঠীর মধ্যে লড়াই বহু মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশেন ফর মাইগ্রেশন নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার হিসেব, ঘরছাড়তে বাধ্য হয়েছেন অন্তত এক কোটি ৪০ লক্ষ মানুষ। ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের শিকার গোটা দেশ। দেশের অন্তত অর্ধেকের বেশি মানুষ বেকার। এরই মধ্যে সামনে এসেছে ভয়াবহ তথ্য।
জানা গেছে, সুদানের মহিলারা গণহারে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হচ্ছেন সশস্ত্র বাহিনীর ধর্ষণের হাত থেকে বাঁচতে। এর আগে সুদানে শারীরিক সম্পর্কের বিনিময়ে মহিলাদের হাতে খাবার তুলে দেবার ভয়াবহ ঘটনা সামনে এসেছিল।
রাষ্ট্রসঙ্ঘের অনুমোদিত আন্তর্জাতিক তথ্যানুসন্ধানী দলের রিপোর্টে জানা গেছে, সুদানের এই সশস্ত্র বাহিনী মহিলাদেরকেই নিশানা করে নিজেদের যৌনক্ষুধা মেটাচ্ছে। ফলে বহু মহিলা ও শিশুকে দেশ ছাড়তে হচ্ছে, যাঁরা তা পারছেন না তাঁদের অনেকে আত্মহত্যা করছেন।
তানজানিয়ার প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি তথা মানবাধিকার আন্দোলনের অগ্রণী মুখ, মহম্মদ চান্দ ওথম্যান জানিয়েছেন, মহিলা ও নাবালিকাদের অপহরণ করে যৌনদাসত্বের কাজে লাগানো হচ্ছে। গোটা সুদানের কোনও অংশই আর মেয়েদের জন্য নিরাপদ নয়। স্ট্র্যাটেজিক ইনিশিয়েটিভ ফর ওম্যানের আঞ্চলিক অধিকর্তা হালা-আল-কারিব জানিয়েছেন, রাজধানী খার্তুমে বাড়িতে ঢুকে অসংখ্য মহিলাদের ধর্ষণ ও চরম অত্যাচার করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘গত ২০ বছর ধরে সুদানে ধর্ষণ ও যৌন অত্যাচার কোনও নতুন ঘটনা নয়। কিন্তু গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এই ঘটনা বহুগুনে বেড়ে গেছে।’ মেয়েদের শরীরকে সুদানে যুদ্ধের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। সেন্ট্রাল সুদানে মহিলারা সশস্ত্র বাহিনীর গণধর্ষণ ও অত্যাচার মেনে নিতে না পেরে বাধ্য হয়েই আত্মহত্যা করছেন বলেও তিনি জানান।
খবর : উত্তরবঙ্গ সংবাদ। (ছবি প্রতীকী)।