চুরাইবাড়িতে তেলের টিন থেকে কফ সিরাপ উদ্ধার, আটক লরি সহ দুই 

মোহাম্মদ জনি, পাথারকান্দি।
বরাক তরঙ্গ, ২৫ আগস্ট : অসম-ত্রিপুরা সীমান্তের চুরাইবাড়ি চেক পোস্টে পুলিশের তল্লাশিতে ধরা পড়ল কয়েক কোটি টাকার নেশাজাতীয় কফ সিরাপ। পুলিশের বিশেষ অভিযানে একটি লরি আটক করে বিপুল পরিমাণ কফ সিরাপ উদ্ধার করা হয়েছে। এই ঘটনায় কলকাতার দুই যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে।

জানা যায়, সোমবার সকালে কলকাতা থেকে ত্রিপুরাগামী একটি লরি থেকে বিপুল পরিমাণ নেশাজাতীয় কফ সিরাপ উদ্ধার করে পুলিশ। চুরাইবাড়ি পুলিশ ওয়াচ পোস্টে আইসি প্রণব মীলির নেতৃত্বে পরিচালিত বিশেষ অভিযানে ধরা পড়ে এই পাচারের ছক। লরিতে থাকা তেলের টিনের ভেতরে বিশেষভাবে লুকিয়ে পাচারের ছক বানালেও শেষ পর্যন্ত পুলিশের কড়া নজর এড়াতে পারেনি পাচারকারীরা।

WB-25N-4370 নম্বরের লরি খুচরো পণ্য বোঝাই করে কলকাতা থেকে ত্রিপুরার দিকে যাচ্ছিল, সেটি অসম ত্রিপুরা সীমান্তের চুরাইবাড়ি ওয়াচ পোস্টে পৌঁছায়। গেট ইনচার্জ প্রণব মিলির নেতৃত্বে তখন নিয়মিত তল্লাশি চলছিল। লরির কাগজপত্রে সব ঠিকঠাক থাকলেও পুলিশের সন্দেহ হয়। ফলে গাড়িতে বোঝাই করা মালামাল একে একে নামানো শুরু হয়।

প্রথমে তেমন কিছুই পাওয়া যায়নি। কিন্তু পরক্ষণেই দেখা যায়, একাধিক ভোজ্য তেলের টিন অস্বাভাবিকভাবে ভারী। সন্দেহ ঘনীভূত হতেই সেই টিন ভেঙে পরীক্ষা করে পুলিশ। আর সেখান থেকেই বেরিয়ে আসে কফ সিরাপ ভর্তি বোতলের স্তূপ।

তল্লাশি অভিযানে মোট উদ্ধার হয়েছে ৩০,৪৩৬ বোতল এসকফ সিরাপ যার কালোবাজারমূল্য প্রায় তিন কোটি টাকার অধিক। এই কফ সিরাপ মূলত নেশার উদ্দেশ্যে ব্যবহার হয় এবং কিশোর-যুবকদের মধ্যে মারাত্মকভাবে ছড়িয়ে পড়ছে। এ ঘটনায় গাড়ির চালক ও সহচালককে আটক করা হয়। ধৃতরা হলেন হামিনুর ইসলাম ও শেখ আলামিন দু’জনেই পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশ পরগনার দেওগঙ্গা থানার শিমুলিয়া এলাকার বাসিন্দা।

পুলিশ জানিয়েছে, কফ সিরাপ পাচারের জন্য তেলের টিনকে বেছে নেওয়া হয়েছিল। সাধারণত ভোজ্য তেলের টিনে এভাবে অবৈধ মাল লুকিয়ে বহন করা হয় না। ফলে চালকদের ধারণা ছিল, নজরদারি এড়িয়ে যাওয়া সহজ হবে। কিন্তু পুলিশের কড়া তল্লাশির জালে তাদের পরিকল্পনা ভেস্তে যায়।

Spread the News
error: Content is protected !!