নতুন রূপে লোয়াইরপোয়া আরসিসি সেতু, উন্নয়নের পথে বড় পদক্ষেপ

মোহাম্মদ জনি, পাথারকান্দি।
বরাক তরঙ্গ, ৫ আগস্ট : দীর্ঘ দিনের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে পাথারকান্দির বিধায়ক তথা মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু পালের উপস্থিতিতে মঙ্গলবার পুনরায় প্রাণ ফিরল লোয়াইরপোয়ায় লঙ্গাই নদীর উপর থাকা পাকা সেতু। লোয়াইরপোয়া–কানমুন সড়কের লঙ্গাই নদীর উপর অবস্থিত এই গুরুত্বপূর্ণ সেতুটি সংস্কার কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর আনুষ্ঠানিকভাবে জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। এর ফলে আবারও নির্বিঘ্নে চলাচল শুরু হবে পাথারকান্দি, কানমুন ও আশপাশের বিস্তীর্ণ অঞ্চলের মানুষের।

সংস্কার শেষে পুনরায় চালু হওয়ায় স্বস্তি এলাকার মানুষের, মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা ও মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু পালের প্রতি কৃতজ্ঞতা স্থানীয়দের

উল্লেখ্য, পাথারকান্দির বিধায়ক বৃহত্তর এলাকার মানুষের পাশাপাশি  পার্শবর্তী রাজ্য মিজোরাম ও ত্রিপুরার মানুষের কাছে এই সেতুর গুরুত্ব অপরিসীম। বহু গ্রাম, বাজার ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে শহরের সংযোগের একমাত্র নির্ভরযোগ্য মাধ্যম এটি। সেতুটি বন্ধ থাকায় এতদিন মানুষকে বিকল্প ও দীর্ঘ পথ ঘুরে যাতায়াত করতে হয়েছে, যা সময়, অর্থ ও শ্রম তিন দিক থেকেই ছিল কষ্টকর। পণ্য পরিবহণ, চিকিৎসা পরিষেবা ও জরুরি কাজে একাধিকবার সমস্যায় পড়তে হয়েছে সাধারণ মানুষকে। তাই সংস্কারের পর সেতুটি চালু হওয়ায় এখন স্বস্তির নিশ্বাস ফেলছে সবাই। সেতুটি চালু হওয়ার ফলে শুধু যাতায়াতই সহজ হবে না, বরং স্থানীয় অর্থনীতি ও ব্যবসা-বাণিজ্যেও আসবে গতি। কৃষকরা দ্রুত বাজারে পণ্য পৌঁছে দিতে পারবেন, ব্যবসায়ীরা সহজে মালামাল আনা-নেওয়া করতে পারবেন এবং শিক্ষার্থীরা নিরাপদ ও সময়মতো বিদ্যালয়ে পৌঁছাতে পারবেন। এমনকি অসুস্থ মুমুর্ষ রোগীর সহ গর্ববতী মহিলাদের নিরাপদ ও সহজে কম সময়ে হাস্পাতালের পৌছাতা পারবেন।

নতুন রূপে লোয়াইরপোয়া আরসিসি সেতু, উন্নয়নের পথে বড় পদক্ষেপ

স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সাধারণ মানুষ মুখ্যমন্ত্রী ড. হিমন্ত বিশ্ব শর্মা ও রাজ্যের মন্ত্রী তথা স্থানীয় বিধায়ক কৃষ্ণেন্দু পালের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। তাঁরা জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রীর অটুট সহায়তা ও মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দুর তৎপরতায় সার্বক্ষণিক দিকনির্দেশনার ফলেই এই সেতুর সংস্কার কাজ এত দ্রুত সম্পন্ন হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা এক যুবতী সঞ্জিতা দাস  বলেন, আমরা এই সেতুর পুনরায় চালুর জন্য বহুদিন ধরে অপেক্ষা করছিলাম। আজ স্বপ্ন পূরণ হল। মুখ্যমন্ত্রী ড.  হিমন্ত বিশ্ব শর্মা  ও স্থানীয় বিধায়ক তথা মন্ত্রী কৃষ্ণেদু পাল এবং সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ।

Spread the News
error: Content is protected !!