লায়ন্স ক্লাব শিলচর সেন্ট্রালের শিক্ষক দিবস সংবর্ধনা
বরাক তরঙ্গ, ৬ সেপ্টেম্বর : প্রতি বছরের মতো এবছরও শিলচর লায়ন্স ক্লাব অব শিলচর সেন্ট্রালের সেমিনার হলে ৫ সেপ্টেম্বর তথা শিক্ষক দিবস পালন করা হয়। এদিন শিক্ষক দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে শিক্ষকদের সংবর্ধনা সভার আয়োজন করা হয়। প্রথমে সর্বোপল্লী রাধাকৃষ্ণনের প্রতিকৃতিতে উপস্থিত ক্লাবের সকল স্তরের সদস্যরা পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।এরপর উপস্থিত মূখ্য উপস্থিত অতিথি হিসেবে শিলচর এনআইটি-র ডিরেক্টর দীলিপ কুমার বৈদ্য, কাছাড় কলেজের ইংরেজি বিভাগের প্রাক্তন অধ্যাপক ড.সন্তোষ রঞ্জন চক্রবর্তী সহ এই অঞ্চলের তিনজন প্রাক্তন শিক্ষক আবিদ রাজা মজুমদার, সুবিনয় পাল, রবীন্দ্র বর্মনদের গলায় উত্তরীয় হাতে পুষ্পাবক ও হাতে উপহার তুলে দিয়ে সম্মান জানানো হয়।
বক্তব্যে প্রাক্তন শিক্ষক আবিদ রাজা চৌধুরী বক্তব্যে ড. সর্বোপল্লী রাধাকৃষ্ণনের জীবনের বিভিন্ন অংশ সংক্ষেপে তুলে ধরেন। মুখ্য অতিথি শিলচর এনআইটি ডিরেক্টর দিলীপ কুমার বৈদ্য বলেন, ভারতবর্ষের শিক্ষার্থী সমাজ আজও যাঁদের নিয়ে গর্ব করে, সেই শিক্ষাকেন্দ্রীক মনীষীদের প্রধান পুরুষ হলেন সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণণ। তিনি শুধুমাত্র ভারতের প্রথম উপরাষ্ট্রপতি ও দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতিই ছিলেন না তিনি ছিলেন আদর্শ শিক্ষক। তাঁর দেশপ্রেম, ভারতীয়তা বোধ, আদর্শ রাষ্ট্রনেতৃত্ব, তাঁর সহজ-সরল অনাড়ম্বর জীবনধারণ, চেতনাশীল সুশিক্ষা এবং ছাত্রদের সঙ্গে অনুকরণীয় আচরণই ছিল প্রধান। এই অসাধারণত্বের জন্যই ডঃ সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণণের এত খ্যাতি। প্রাক্তন অধ্যাপক সন্তোষ রঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, গুরু এবং শিষ্যের এক গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্ক, এই সম্পর্কই সমাজ গঠনে এক বিরাট ভূমিকা রয়েছে, সঠিক সমাজ গঠনে সঠিক শিক্ষকের প্রয়োজন রয়েছে।
সম্পূর্ণ অনুষ্ঠান পরিচালনায় ছিলেন প্রাক্তন সভাপতি তথা লায়ন্স আই আই হসপিটালের বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান অরিন্দম ভট্টাচার্য। উপস্থিত ছিলেন বর্তমান চেয়ারম্যান ডাঃ এম মাসুম, সভাপতি সুমিত দাস, সম্পাদক যশবন্ত দাস, প্রকল্প সঞ্চালক সঞ্জীব দেবনাথ, সোমা দাস, অলোক মোহন বণিক সহ আরো অন্যান্যরা।