ছেলে সন্তান জন্ম দিতে না পারায় স্ত্রীকে মানসিক এবং শারীরিক নির্যাতন আইনজীবী স্বামী, মামলা

বরাক তরঙ্গ, ৪ এপ্রিল : রাজ্যের সভ্য সমাজকে কলঙ্কিত করা এমন জঘন্য ঘটনা সংঘটিত হয়। ছেলে সন্তান জন্ম দিতে না পারায় স্ত্রীকে মানসিক এবং শারীরিক নির্যাতন চালালেন স্বামী। অভিযোগ অনুসারে, এক বা দুই নয় ১৫ বছর ধরে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনে ভুগছিলেন ডিগবইয়ের টিংরাইয়ের একজন মহিলা।

মহিলাকে চড়-থাপ্পড় দেওয়া হয়। কিন্তু ভাববেন না যে এই নৃশংসতা করেছে সে অশিক্ষিত লোক। ওই মহিলার স্বামী বিজেন্দ্র মৌয়া, মার্গেরিটা আদালতের একজন আইনজীবী।

অন্যদের প্রতিনিধিত্বকারী এই আইনজীবী ছেলের জন্ম দিতে না পারায় স্ত্রীকে নির্যাতন করছেন। ২০ বছর আগে ২০০৩ সালে ওই নারী ও আইনজীবীর বিয়ে হয়।

বিয়ের পর তাদের ঘরে একটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। ততক্ষণ পর্যন্ত সবকিছু ঠিকঠাকই ছিল। এরপর অসুখ ও ছেলে সন্তান জন্ম না হওয়ায় নির্যাতন শুরু করে বিজেন্দ্র।

আগের স্ত্রীকে তালাক না দিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। তার দ্বিতীয় স্ত্রীর দুই ছেলে রয়েছে। আর দেখুন প্রথম স্ত্রীকে কন্যা সন্তানের জন্য বছরের পর বছর নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ এনে মামলা করেছে নির্যাতিতার পরিবার।

কিন্তু আইনজীবী স্বামী বিজয়েন্দ্র আইনি ফাঁক দিয়ে পিছলে যান। মেয়ে হওয়ার জন্য তার স্ত্রীকে মারধরের সব প্রমাণ নিয়ে ভুক্তভোগীর পরিবার এখন আবার পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছে।

Author

Spread the News