লক্ষীপুর ব্লক আঞ্চলিক পঞ্চায়েত বিজেপির দখলে, সভাপতি বীরমণি
কেএইচ লস্কর, লক্ষীপুর।
বরাক তরঙ্গ, ১৮ জুলাই : প্রত্যাশা মতো শাসক দলের চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী লক্ষীপুর ব্লক আঞ্চলিক পঞ্চায়েত বিজেপির দখলে। বিজেপি দলের মনোনীত আঞ্চলিক পঞ্চায়েত সদস্য ওইনাম বীরমণি সিংহ লক্ষীপুর ব্লক আঞ্চলিক পঞ্চায়েত সভাপতি মনোনীত হয়েছেন। পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুসারে শুক্রবার দুপুরে ছিল লক্ষীপুর আঞ্চলিক পঞ্চায়েত সদস্যদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান এবং আঞ্চলিক পঞ্চায়েত সভাপতি ও সহ-সভাপতি চয়নের দিন।
লক্ষীপুর উন্নয়ন খণ্ডের ১১টি গ্রাম পঞ্চায়েতের এপি সদস্যদের শপথ গ্রহণ পাঠ করান লক্ষীপুরের সার্কল অফিসার ঋতুপর্ণা ভদ্রা। শপথ গ্রহণ শেষে সভাপতি পদের জন্য নয়াগ্রাম-ফুলেরতল জিপি-র আঞ্চলিক পঞ্চায়েত সদস্য ওইনাম বীরমণি সিংহের নাম প্রস্তাব করেন জিরিঘাট জিপি-র এপি সদস্য নীহাররঞ্জন রায় (রাতুল)। তাঁকে সমর্থন করেন সবকটি জিপি-র এপি সদস্যরা। বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় একেবারে একবাক্যে লক্ষীপুর ব্লকের এপি সভাপতি মনোনীত হয়েছেন ওইনাম বীরমণি সিংহ। উল্লেখ্যযোগ্য ওইনাম বীরমণি সিংহ ফুলেরতল-নয়াগ্রাম জিপি-থেকে বিনাপ্রতিদ্ধন্দিতায় এপি সদস্য পদে জয়লাভ করেছিলেন। আবারও বিনাপ্রতিদ্ধন্দিতায় এপি সভাপতি মনোনীত হলেন তিনি। শাসক দল বিজেপি-র হয়ে পঞ্চায়েত রাজনীতিতে পদার্পণ করেই লক্ষীপুর ব্লকের আঞ্চলিক পঞ্চায়েত সভাপতির চেয়ারে বসলেন বীরমণি। তিনি জনস্বাস্থ্য কারিগরি বিভাগের প্রাক্তন প্রকৌশলি। পয়লাপুল জিপি-র আঞ্চলিক পঞ্চায়েত সদস্যা মামন দে বিনাপ্রতিদ্ধন্দিতায় লক্ষীপুর ব্লক আঞ্চলিক পঞ্চায়েত সহ-সভানেত্রী মনোনীত হয়েছেন। তার নাম প্রস্তাব করেন শ্রীবার জিপি-র আঞ্চলিক পঞ্চায়েত সদস্যা কামিনী দেবী। এই প্রস্তাব একবাক্যে সবাই সমর্থন করেন।

শুক্রবার শপথ গ্রহণ করা এপি সদস্যরা হলেন লক্ষীনগর জিপি-র আর জুলিয়া রংমাই। দিঘলী-বাহাদুরপুর জিপি-র ঝুমারানি শুক্লবৈদ্য, জিরিঘাট জিপি-র নীহাররঞ্জন রায়, লালপানি জিপি-র ওয়াহিদা বেগম লস্কর, ফুলেরতল-মারখুলিন জিপি-র লালসিয়েমথার মার, ফুলেরতল-নয়াগ্রাম জিপি-র ওইনাম বীরমণি সিংহ, শ্রীবার জিপি-র কামিনী সিংহ, পয়লাপুল জিপি-র মামন দে, পালোরবন্দ জিপি-র প্রদীপ তাঁতী। তারাপুর-নারাইনপুর জিপি-র জয়প্রকাশ তেলী এবং বাদ্রী-করইকাদি জিপি-র সাবিত্রী গোয়ালা। শপর গ্রহণ অনুষ্ঠানে বিজেপি দলের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
লক্ষীপুর ব্লকের নতুন আঞ্চলিক পঞ্চায়েত সভাপতি ওইনাম বীরমণি সিংহ সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, নতুন দায়িত্ব পালনে লক্ষীপুর উন্নয়ন খণ্ড এলাকার জিপি গুলোর সার্বিক উন্নয়নই তাঁর মূল লক্ষ্য। এগারোটি জিপির গ্রামোন্নয়নে সবার সহযোগিতা কামনা করেন তিনি। স্থানীয় বিধায়ক তথা মন্ত্রী কৌশিক রায়ের পরামর্শ নিয়ে উন্নয়ন মূলক কাজকর্ম চালিয়ে যাবেন বলে আশ্বস্ত করেন।