খানাপাড়ায় গড়ে উঠছে উত্তর-পূর্ব ভারতের প্রথম পশু IVF কেন্দ্র, কাজ পরিদর্শন কৃষ্ণেন্দু পালের
মোহাম্মদ জনি, শ্রীভূমি।
বরাক তরঙ্গ, ৩০ জুলাই : অসমের পশু কল্যাণ ও কৃষিনির্ভর অর্থনীতির বিকাশে আরও এক যুগান্তকারী অধ্যায়ের সূচনা হতে চলেছে। পশু প্রজননে আধুনিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রয়োগ ঘটিয়ে গড়ে তোলা হচ্ছে উত্তর-পূর্ব ভারতের প্রথম ও একমাত্র পশু IVF (In-Vitro Fertilization) এবং এমব্রায়ো ট্রান্সফার সেন্টার। গুয়াহাটির খানাপাড়া ভেটেরিনারি কলেজ প্রাঙ্গণে Rashtriya Gokul Mission (RGM)-এর অধীনে নির্মিত এই অত্যাধুনিক কেন্দ্রটি বর্তমানে শেষ পর্যায়ের নির্মাণে রয়েছে। মঙ্গলবার রাজ্যের পশুপালন ও পশুচিকিৎসা বিভাগের মাননীয় মন্ত্রী তথা পাথারকান্দি বিধানসভার বিধায়ক কৃষ্ণেন্দু পাল বিভাগীয় শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে এই কেন্দ্র পরিদর্শন করেন।

পরিদর্শন শেষে মন্ত্রী সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন এই IVF কেন্দ্রটি পশু প্রজননে অসমকে আধুনিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির যুগে প্রবেশ করাবে। এটি শুধু অসম নয়, সমগ্র উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জন্য একটি ঐতিহাসিক সম্পদ হয়ে উঠবে। উন্নত প্রজাতির গবাদিপশু উৎপাদনের ক্ষেত্রে এটি এক বিশাল পরিবর্তনের সূচনা করবে।”

মন্ত্রী আরও বলেন, এই স্বপ্নের প্রকল্পের পেছনে রয়েছে রাজ্যের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী ড. হিমন্ত বিশ্ব শর্মা মহাশয়ের দূরদর্শী নেতৃত্ব, বৈজ্ঞানিক মানসিকতা এবং সুপরিকল্পিত দৃষ্টিভঙ্গি। তাঁরই দিকনির্দেশনায় অসমে পশুপালন ও কৃষি খাতে এক নতুন দিগন্তের সূচনা হচ্ছে।
এই কেন্দ্র চালু হলে গবাদিপশুর উন্নত প্রজাতি সংরক্ষণ, প্রজনন প্রক্রিয়ার গতি বৃদ্ধি, দুগ্ধ উৎপাদন বৃদ্ধি এবং পশুসম্পদের সার্বিক মানোন্নয়নে এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। এতে করে শুধু পশু কল্যাণই নয়, রাজ্যের গ্রামীণ অর্থনীতির ভিত আরও মজবুত হবে।বিশেষ করে, কৃষিজীবী ও পশুপালকদের আয়ের নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে, যা অসমের সামগ্রিক অর্থনৈতিক কাঠামোকে সুসংহত করতে সহায়ক হবে।

রাজ্য সরকার সূত্রে জানা গেছে, খুব শীঘ্রই এই IVF ও এমব্রায়ো ট্রান্সফার সেন্টারটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী ড. হিমন্ত বিশ্ব শর্মা ও বিভাগীয় মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু পাল এই কেন্দ্র উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে অসমের পশুপালন ও পশুচিকিৎসা খাতের ইতিহাসে যুক্ত হবে এক নতুন মাইলফলক, যা গোটা উত্তর-পূর্বাঞ্চলকেই এগিয়ে নিয়ে যাবে উন্নয়নের এক নতুন দিগন্তে।