কাছাড় জেলায় কৃষি বিভাগের ৩টি সাব ডিভিশনে কাতি বিহু উদযাপন
বরাক তরঙ্গ, ১৭ অক্টোবর : সারা রাজ্যের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে কাছাড় জেলায়ও ‘কাতি বিহু’ সহ বিভাগীয় প্রকল্প সচেতনতা অভিযান পালন করে কাছাড় কৃষি দফতর। বৃহস্পতিবার জেলার শিলচর, সোনাই ও লক্ষীপুর এই তিনটি সাব-ডিভিশনে আয়োজিত অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পালন করা হয় দিনটি। শিলচর সাব-ডিভিশনের অন্তর্ভুক্ত উধারবন্দের দুর্গানগর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে মুখ্য অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কাছাড় জেলা আয়ুক্ত মৃদুল যাদব, সঙ্গে ছিলেন জেলা কৃষি আধিকারিক ড. এআর আহমেদ, বিভাগীয় মহকুমা কৃষি আধিকারিক জয়নাল আবেদিন, কাছাড়ের লিড ব্যাঙ্ক ম্যানেজার দীনেশ গুপ্তা, কৃষি উন্নয়ন আধিকারিক অরশমিতা গগৈ, মৃন্ময় নাথ, ভাস্করজ্যোতি চুটিয়া, সহকারী কৃষি অভিজান্তা রাজদীপ লংযাম সহ বিভিন্ন সমাজ সেবী ও অন্যান্য কৃষি আধিকারিকবৃন্দ। জেলাশাসক সবাইকে আগুন্তক ফসল কাটার মরশুমে বহুল পরিমাণে শস্যগোলাজাত করার কামনা সহ কাতি বিহুর শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করে জানান কাছাড় জেলায় এবার ৪টি ধানক্রয় কেন্দ্রে সরকার দ্বারা বর্ধিত ২৩০০ মূল্যে ধান ক্রয় করা হবে তাই সবাইকে স্বতরসূর্ত ভাবে এগিয়ে এসে সঠিক মূল্যে ধান বিক্রয় করার আবেদন রাখেন।
সোনাই বিভাগীয় সাব ডিভিশনেট অধীন মাজিরগ্রাম নোলেজ সেন্টারে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সহকারী আয়ুক্ত জোনালী দেবী ছাড়া অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জেলা কৃষি আধিকারিক, বিভাগীয় মহকুমায় কৃষি আধিকারিক ড. নিখিল চন্দ্র দাস, কাছাড়ের লিড ব্যাঙ্ক ম্যানেজার দীনেশ গুপ্তা, কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক হিমাংশু মিশ্র , কৃষি উন্নয়ন আধিকারিক খঞ্জন দাস, ইফকো ফিল্ড অফিসার রেহান রেজা, কার্যকরী প্রকৌশলী (কৃষি) প্রতিনিধি, বিভিন্ন সমাজ সেবী ও অন্যান্য কৃষি আধিকারিকবরা।
লক্ষীপুর সাব ডিভিশনের অধীন সালামতপুর নামঘরে হওয়া অনুষ্ঠানে মুখ্য অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা আয়ুক্ত যুবরাজ বরঠাকুর সাথে ছিলেন জেলা কৃষি আধিকারিক, এ আর আহমে , এসডিএও ড. রাহুল চক্রবর্তী, জেলা কৃষি আধিকারিক দফতরের অবসরপ্রাপ্ত জ্যেষ্ঠ সহকারী অসীম দেব, কাছাড়ের লিড ব্যাঙ্ক ম্যানেজার দীনেশ গুপ্তা, কৃষি উন্নয়ন আধিকারিক তিলক মালাকার, দিব্যজ্যোতি শইকিয়া, বিভিন্ন সমাজ সেবী, অতিথি বৃন্দ সহ কৃষি বিভাগের কর্মীরা। এই অনুষ্ঠানে একটি বিহু নিত্য প্রতিযোগিতারও আয়োজনও করা হয় এবং প্রতিযোগীদের পুরস্কার প্রদান করা হয় বিভাগ দ্বারা।
তিনটি সাব ডিভিশনেই প্রগতিশীল কৃষক বন্ধুদের গামছা দিয়ে সম্মানিত করা হয় ও সরকার দ্বারা চালিত বিভিন্ন প্রকল্প পিএম কিষান, পিএম আফবিওয়াই, সয়েল হেলথ কার্ড, ধান সংগ্রহ অভিযান, ন্যানো ইউরিয়া, বৃক্ষ সংরক্ষন, আরকেভিওয়াই ইত্যাদি সম্পর্কে স্থানীয় কৃষকদের অবগত করেন বিভাগীয় কর্তারা। প্রতিটি অনুষ্ঠানে স্থানীয় শিল্পীরা বিহু ও অন্যান্য পরম্পরাগত নৃত্য পরিবেশন করে। সন্ধ্যার কার্যসূচি অনযায়ী পরম্পরাগত তুলসী গাছের সামনে সরাই প্রদীপ রেখে ও সবশেষে ধান ক্ষেতে “আকাশ প্রদীপ” প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে কাতি বিহু দিনটি স্মরণীয় করে রাখেন অতিথিবৃন্দ।