কানাইনগর-ফাকুয়া আসন কংগ্রেস প্রার্থী পৌষালি
কংগ্রেসের ভরসা তরুণ নেতৃত্বে
মোহাম্মদ জনি, পাথারকান্দি।
বরাক তরঙ্গ, ১০ এপ্রিল : অসম রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। সেই সঙ্গে রাজ্যজুড়ে শুরু হয়ে গেছে নির্বাচনী উত্তেজনা। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা মনোনয়নের জন্য দলের উচ্চপর্যায়ের নেতাদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। আবার অনেইকেই দলীয় টিকেট হাসিল করে মাঠে নেমে পড়ছেন ভোটারদের মন পেতে দিন রাত এক করে গুরে বেড়াচ্ছেন। এখানে সব দলই শক্তি বাড়াতে এবং জনভিত্তিকে সুসংহত করতে নিজেদের মতো করে কৌশল সাজিয়ে নিচ্ছে। এই প্রেক্ষাপটে কংগ্রেস দল বিভিন্ন আসনে হেভিওয়েট প্রার্থী ও তরুণ নেতৃত্বকে সামনে এনে নির্বাচনী প্রস্তুতি জোরদার করেছে। তাদের লক্ষ্য—একটি শক্তিশালী প্রত্যাবর্তন। এরই ধারাবাহিকতায় পাথারকান্দি বিধানসভা কেন্দ্রের কানাইনগর-ফাকুয়া জেলা পরিষদ আসনে কংগ্রেস মনোনীত প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে লড়তে চলেছেন পৌষালি দেবনাথ একুশ বছরের এক প্রতিভাবান ও বহুমুখী গুণসম্পন্ন তরুণী। জেলা কংগ্রেস সভাপতি রজত চক্রবর্তী আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁর হাতে দলীয় মনোনয়নপত্র তুলে দেন। এই বিশেষ মুহূর্তে উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেস নেতা হেলাল খান, জিয়াউল হক, এবং পৌষালির দুই ভাই নিতাই দেবনাথ ও বিশ্বজ্যোতি দেবনাথ।
এছাড়াও, উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেসের অন্যান্য স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ও কর্মীরা। এই মনোনয়নের মধ্য দিয়ে কংগ্রেস দলের তরুণ নেতৃত্বে আস্থা রাখার বার্তা স্পষ্ট হয়েছে। রাজনৈতিক মহলের মতে, নবীন মুখ হিসেবে পৌষালি দেবনাথের প্রার্থিতা নতুন প্রজন্মের জন্য এক ইতিবাচক ইঙ্গিত। তারুণ্যের শক্তিকে রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার মূলস্রোতে টেনে আনার এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ এটি। তিনি বিশিষ্ট কবি, সংগীতশিল্পী, মানবাধিকার কর্মী ও লেখক নীহাররঞ্জন দেবনাথের কন্যা।

কানাইনগর-ফাকুয়া আসনে হিন্দু-মুসলিম ভোটার সংখ্যা প্রায় সমান। তাই ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে মানুষের কাছে পৌঁছানো, জনসংযোগ বৃদ্ধি ও সর্বস্তরের মানুষের বিশ্বাস অর্জনে তিনি নিরলস পরিশ্রম করে চলেছেন।প্রচারাভিযানে তাঁর বক্তব্যে বারবার উঠে আসছে সত্য ও ন্যায়ের বার্তা। তিনি বিশ্বাস করেন, জনসেবা করতে হলে হৃদয় থেকে মানুষের পাশে দাঁড়াতে হয়, এবং রাজনীতি সেই বৃহত্তর সেবারই একটি মাধ্যম।