ছত্তিশগড়ে যৌথবাহিনীর গুলিতে হত ১০ মাওবাদী
২২ নভেম্বর : যৌথবাহিনীর সঙ্গে গোলাগুলিতে খতম করা দশ মাওবাদীকে। শুক্রবার ছত্তিশগড়ের সুকমা (Sukma) জেলায় সংঘর্ষ শুরু হয়। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে এলাকায় অভিযান চালায় সিআরপিএফ, ডিসট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড (ডিআরজি)। বস্তার রেঞ্জের ইনস্পেক্টর জেনালের অফ পুলিশ পি সুন্দররাজ জানিয়েছেন, সিআরপিএফ ও ডিআরজি এই অভিযানের অংশ ছিল। এদিন তল্লাশি অভিযানে যেতেই বাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি চালাতে থাকে মাওবাদীরা। পালটা জবাব দেয় বাহিনীও। দু’পক্ষের মধ্যে ব্যাপক গুলির লড়াই হয়। তাতে দাবি করা হয়েছে, সংঘর্ষে ১০ মাওবাদীর দেহ উদ্ধার হয়েছে। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। হত মাওবাদীদের কাছ থেকে প্রচুর স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র, বিস্ফোরক এবং বেশকিছু নথি উদ্ধার হয়েছে।
গত শনিবার বস্তারে নিরাপত্তাবাহিনীর গুলিতে নিহত হয় পাঁচ মাওবাদী। কাঁকের এবং নারায়ণপুর জেলার সীমানায় এবং উত্তর অবুঝমাড়ে মাওবাদী গতিবিধির বিষয়ে নির্দিষ্ট কিছু তথ্য পেয়েছিল নিরাপত্তাবাহিনী। সেইমতো রিজার্ভ গার্ড, স্পেশাল টাস্ক ফোর্স এবং বিএসএফের জওয়ানরা যৌথ অভিযান চালায়। বেশ কয়েক ঘণ্টা ধরে দু’পক্ষের সংঘর্ষ চলে। যৌথ অভিযানে অন্তত পাঁচ মাওবাদী নিহত হয়। গত অক্টোবরে দন্তেওয়াড়া-নারায়ণপুর সীমানার অদূরে নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ের ৩৮ জন মাওবাদী হত হয়। তাদের মোট মাথার দাম ছিল ২ কোটি ৬২ লক্ষ টাকা।