ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র সরবরাহ করতেও প্রস্তুত বহু দেশ
২৩ জুন : ইজরায়েল ইরানের যুদ্ধে ঢুকে পড়েছে আমেরিকা। ট্রাম্পের নির্দেশে রাতের অন্ধকারে ইরানের পরমাণুকেন্দ্রে ‘বাঙ্কার বাস্টার’ বোমা ফেলে দিয়ে এল মার্কিন বোমারু বিমান। এই ঘটনায় নিন্দায় সরব হয়েছে রাশিয়া, চিন সহ বহু দেশ। ইরানে আমেরিকার হামলার পর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব আন্তোনিয়ো গুতেরেস। ইরানে মার্কিন হামলার পর ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। বলেছেন, ‘‘শক্তির মাধ্যমেই শান্তি আসে! ঈশ্বর, আমাদের (ইজ়রায়েল ও আমেরিকা) জোটকে অটুট রাখুক।’’
মার্কিন হামলার কড়া নিন্দা করেছে রাশিয়া। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে জরুরি আলোচনায় বসতে সে দেশে গিয়েছেন ইরানের বিদেশমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি। আমেরিকার হামলাকে ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’ বলে মন্তব্য করেছেন পুতিন ঘনিষ্ঠ দিমিত্রি মেদভেদেভ। তিনি বলেছেন, ‘‘ইরানে পারমাণবিক পদার্থের সমৃদ্ধকরণ এবং ভবিষ্যতে পারমাণবিক অস্ত্রের উৎপাদন অব্যাহত থাকবে। প্রয়োজনে বেশ কয়েকটি দেশ ইরানকে সরাসরি নিজেদের পারমাণবিক অস্ত্র সরবরাহ করতেও প্রস্তুত।’’ মার্কিন হামলার সমালোচনা করেছে চিনও। আমেরিকা আন্তর্জাতিক আইন ভেঙেছে বলে বিবৃতি তারাও।
ইরানে আমেরিকার হামলার পর উদ্বেগ প্রকাশ করে রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব আন্তোনিয়ো গুতেরেসের আশঙ্কা, এ বার পশ্চিম এশিয়ার পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠতে পারে। পরিস্থিতি চলে যেতে পারে নিয়ন্ত্রণের বাইরে! পশ্চিম এশিয়ায় আমেরিকার বলপ্রয়োগ দেখে তিনি যথেষ্টই শঙ্কিত। রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব সমাজমাধ্যমে লিখেছেন, ‘‘আমেরিকা যে ভাবে ইরানের উপর হামলা চালিয়েছে, আমি তা দেখে অত্যন্ত শঙ্কিত। যে অঞ্চল এমনিতেই খাদের কিনারায় দাঁড়িয়ে, আন্তর্জাতিক শান্তি এবং নিরাপত্তার জন্য যে অঞ্চল আশঙ্কার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে, সেখানে একটা ভয়ানক উত্তেজনা তৈরি করা হল। এই সংঘাত এ বার নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে। পশ্চিম এশিয়া এবং সারা বিশ্বের জন্য পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠতে পারে।’’
