বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন চার সংগঠনের
বরাক তরঙ্গ, ২১ ফেব্রুয়ারি : আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করে ছাত্র সংগঠন এআইডিএসও, যুব সংগঠন এআইডিওয়াইও, মহিলা সংগঠন এআইএমএসএস এবং কিশোর কিশোরী সংগঠন কমসোমলের কাছাড় জেলা কমিটি।

এদিন সকাল ৯ টায় ১৯৬১ সালের মাতৃভাষা আন্দোলনের অন্যতম শহিদ কমলা ভট্টাচার্যর প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণের পর সংগঠন গুলোর কর্মকর্তারা শোভাযাত্রা করে শিলচরের রেলস্টেশনে ভাষা শহিদ স্মারকের পাদদেশে উপস্থিত হয়ে ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করে। প্রাক্তন শিক্ষক সুব্রতচন্দ্র নাথ, এআইডিওয়াইও’র কাছাড় জেলা কমিটির সহ-সভাপতি পরিতোষ ভট্টাচার্য, এআইডিএসও’র জেলা সভাপতি স্বাগতা ভট্টাচার্য, এআইডিএসও’র অসম রাজ্যে কমিটির সদস্য প্রশান্ত ভট্টাচার্য, এআইএমএসএস এর পক্ষে খাদেজা বেগম লস্কর, কিশোর কিশোরী সংগঠন কমসোমলের কাছাড় জেলা কমিটির আহ্বায়ক অরূপ মালাকার সহ উপস্থিত সংগঠনগুলির সদস্যরা। এরপর সেখানে অনুষ্ঠিত হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং আলোচনা সভা।

এ দিনের আলোচনা সভার মুখ্য বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সুব্রত চন্দ্র নাথ, এছাড়াও বক্তব্য রাখেন এআইডিওয়াইও’র জেলা কমিটির সহ-সভাপতি পরিতোষ ভট্টাচার্য। আজকের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করেন বিপ্লব ঘোষ, ইয়াসমিন বেগম লস্কর, রূপক সরকার, কবিতা আবৃত্তি করেন স্বাগতা চক্রবর্তী প্রমুখ। আলোচনা সভায় মুখ্য বক্তা সুব্রত চন্দ্র নাথ। তিনি বলেন, ১৯৫২ তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তানে জোর করে বাংলাভাষীদের উপর উর্দু ভাষা চাপিয়ে দেওয়ার বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলন সংগঠিত হয়েছিল। সেখানে মাতৃভাষার উপর নেমে আসা আক্রমণ প্রতিহত করেছিল আবুল, সালাম, বরকত, জব্বার প্রমুখ আত্মবলিদানের মধ্য দিয়ে। তিনি বলেন, ঠিক একইভাবে অসমেও ১৯৬১, ১৯৭২ ১৯৮৬ সালে মাতৃভাষার অধিকার রক্ষার লড়াইয়ে শহীদত্ব বরণ করেছিলেন চৌদ্দ জন মাতৃভাষা প্রেমী বীর সেনানীরা। তিনি বলেন মাতৃভাষা আজও আক্রান্ত হচ্ছে উগ্র প্রাদেশিকতাবাদীদের চক্রান্তে। তিনি ভাষিক আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
