দ্বিতীয়বার এনকাউন্টারে খতম কুখ্যাত ডাকাত লাল
বরাক তরঙ্গ, ২৭ মে : দ্বিতীয়বার এনকাউন্টারে খতম হল কুখ্যাত ডাকাত আফজল হোসেন বড়ভূইয়া ওরফে লাল। সোমবার সকালে হাইলাকান্দির জনবহুল এলাকার কালীবাড়ি রোডে কাছাড় পুলিশের এনকাউন্টারে নিহত হয় কুখ্যাত ডাকাত আফজল। ডাকাত দলের পিছু ধাওয়া করে পাকড়াও করতে গিয়ে কাছাড় পুলিশের এনকাউন্টারে নিহত হয় ত্রাস সৃষ্টিকারী ডাকাত আফজল হোসেন বড়ভূইয়া।
এ দিকে, হাইলাকান্দিতে সাংবাদিক সম্মেলনে কাছাড়ের পুলিশ সুপার নুমুল মাহাতো এবং হাইলাকান্দির পুলিশ সুপার লীনা দোলে জানান, কাছাড় জেলাতে বিভিন্ন চুরি ডাকাতি, অপহরণের মত জঘন্যতম কাজ করে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করছিল কুখ্যাত ডাকাত আফজল। শনিবার রাতে অপহরণ ও ধর্ষণ কাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে তাকে পিছু ধাওয়া করে কাছাড় পুলিশ। হাইলাকান্দি শহরের কালীবাড়ি রোডে তাকে গাড়ি সহ চতুর্দিকে ঘিরে ধরে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়। সে আত্মসমর্পণ না করে পুলিশের দিকে বন্দুক তাক করে গুলি চালাতে উদ্যত হয়। তখন কাছাড় পুলিশকে বাধ্য হয়ে আত্মরক্ষার তাগিদে তাকে এনকাউন্টার করতে হয়। দুই জেলার পুলিশ সুপাররা জানান এনকাউন্টারে গুরুতর আহত কুখ্যাত ডাকাত আফজলকে হাইলাকান্দি এসকে রায় সিভিল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তাররা মৃত বলে ঘোষণা করেন। কাছাড় জেলার উধারবন্দের বাসিন্দা আলা উদ্দিন বড়ভূইয়ার ছেলে লাল। তার বিরুদ্ধে কাছাড় জেলার বিভিন্ন থানায় চুরি, ডাকাতি, অপহরণ ও মহিলাদের সঙ্গে শ্লীলতাহানির মত ন্যাক্কারজনক ঘটনার একাধিক মামলা ঝুলছে। আন্তঃরাষ্ট্রীয় গাড়ি।
এ দিন তার গাড়ি থেকে পুলিশ একটি বন্দুক সহ পাঁচ রাউন্ড সতেজ গুলি উদ্ধার করে। এবং সঙ্গে থাকা আরও এক ডাকাতকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
উল্লেখ্য, গত বছরের ২২ জানুয়ারি শিলচর শহরের মাঝখানে পুলিশ তাকে এনকাউন্টার করে। পুলিশের গুলিতে জখম হয়। শহরের একটি বিল্ডিংয়ে আত্মগোপন করা তাকে গ্রেফতার করতে গেলে এক পুলিশকে ছুরিকাঘাত করে পালানোর সময় পুলিশ তাকে গুলি করে। এরপরও আফজল অপরাধজগৎ থেকে বের হয়ে আসেনি। সে আবারও একের পর এক অপরাধমূলক কাজে জড়ায়।