একই রাতে কদমতলায় দু’টি বাড়িতে চুরি, আতঙ্ক
বরাক তরঙ্গ, ৫ ফেব্রুয়ারি : উত্তর ত্রিপুরার কদমতলায় একই রাতে পরপর দু’টি বাড়িতে সংঘটিত হল চুরিকাণ্ড। এ নিয়ে স্থানীয় জনমনে ব্যাপক আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। জানা যায়, দক্ষিণ কদমতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের ১নং ওয়ার্ড এলাকার বাসিন্দা সুমিতা ভট্টাচার্য তাঁর বাবা শিবদাস ভট্টাচার্য ও মা রেখা ভট্টাচার্যের মৃত্যুর পরে গুয়াহাটিস্থিত স্বামীর বাড়িতে থাকেন। তাঁর পিত্রালয়টি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য চিত্তরঞ্জন দাস ও তাঁর স্ত্রী মণি দাস ওই বাড়িতে থাকছেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যাবেলা চিত্তরঞ্জন দাস সহ স্ত্রী বিশেষ কাজে বাজারে চলে যান। পরে তারা বাড়িতে ফিরে এসে দেখতে পান ঘরের পিছনের দরজা ভাঙা রয়েছে। পরবর্তীতে তিনি খবর দেন এলাকার এই বাসিন্দা স্বপন আদিত্য সহ অন্যান্যদের।পাড়া-প্রতিবেশী সহ উপস্থিত সকলে ওই বাড়িতে এসে ঘটনা প্রত্যক্ষ করে বুঝতে পারেন চুরি হয়েছে। খবর দেওয়া হয় কদমতলা থানায়। এই ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে কদমতলা থানা পুলিশ।পুলিশের উপস্থিতিতে সবাই ঘরের ভিতরে ঢুকে দেখতে পায় ঘরের ভেতরে থাকা আলমিরার লকার ভাঙা রয়েছে। কাগজপত্র সহ বিভিন্ন জিনিসপত্র এলোমেলো ভাবে ছড়ানো রয়েছে গোটা ঘরের ভেতরে। পরে পুলিশ গোটা ঘটনা প্রত্যক্ষ করে চুরি যাওয়া ধন সম্পদের হিসেব লিপিবদ্ধ করে।
অপরদিকে, কদমতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের হাঁফাইটিলা ৩নং ওয়ার্ড এলাকার বাসিন্দা জুয়েল আহমেদ তাঁর স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে বিশেষ কাজে সন্ধ্যাবেলা ধর্মনগরে গিয়েছিলেন।তখন ফাঁকা বাড়িতে চোরের দল হানা দিয়ে ঘরের মূল ফটকের তালা ভেঙে ঘরের ভেতরে থাকা তিনটি মোবাইল সহ অন্যান্য সামগ্রী চুরি করে নিয়ে যায়। তিনি বিষয়টি পুলিশকে অবগত করেন। এই ঘটনার খবর পেয়ে ছুটে আসে কদমতলা থানায় পুলিশ। তারা ঘটনাস্থলে ছুটে এসে গোটা ঘটনা প্রত্যক্ষ করে বাড়ির মালিকের কাছ থেকে বয়ান লিপিবদ্ধ করে। এদিকে, পৃথক পৃথক দু’টি স্থানে চুরির ঘটনায় তদন্ত অব্যাহত রেখেছে কদমতলা থানার পুলিশ।